পারিবারিক ফিকাহ

প্রশ্ন : ২য় বিবাহ করার পর থেকে দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর যাবৎ পিতা আমার ও আমার মায়ের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না। বর্তমানে আমার চাচা-ফুফুরা আমাদেরকে বসতভিটা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কি? এরূপ পিতার পরকালীন শাস্তি কি?

উত্তর : পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৪/৩৪)

সেকারণ পরিবারের যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব পিতার। এ দায়িত্ব পালন না করলে তিনি পাপী হবেন এবং তওবা না করলে যুলুমের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ভাগিদার হবেন (নিসা ৪/৩৪, বুখারী হা/৭১৩৮; মুসলিম হা/১৮২৯; মিশকাত হা/৩৬৮৫)

তবে পিতার সাথে যথাসম্ভব সম্পর্ক রাখতে হবে এবং সদাচরণ করতে হবে। সাথে সাথে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বংশীয় অভিভাবক বা সমাজের দায়িত্বশীলদের সহযোগিতায় ন্যায়সঙ্গত সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর পিতার বসতভিটা থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারে না। কারণ বসতবাড়ী পিতার সম্পদ। আর পিতার সম্পদের উত্তরাধিকারী সন্তানেরা। সুতরাং চাচা-ফুফুদের অধিকার নেই তাড়িয়ে দেয়ার। পেশী শক্তির বলে তাড়িয়ে দিলে বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করলে ক্বিয়ামতের দিন নেকী দিয়ে পরিশোধ করতে হবে বা পাওনাদারের পাপ গ্রহণ করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৭)

তবে সন্তানদের উচিত অধিকার বঞ্চিত হ’লেও সর্বাবস্থায় পিতার আনুগত্য করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমার পিতা-মাতার আনুগত্য করবে, যদিও তারা তোমাকে তোমার সম্পদ থেকে ও কেবল তোমার জন্য নির্দিষ্ট সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে’। (মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৭৯৫৬; মু‘জামুল কাবীর হা/১৫৬; ছহীহ আত-তারগীব হা/৫৬৯)

আর নিঃসন্দেহে সন্তানদের উপর যুলুমের শাস্তি পিতা দুনিয়া ও আখেরাতে পাবেন। যুলুমের শাস্তি থেকে কেউ রেহাই পাবে না (ফুছছিলাত ৪১/৪৬)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button