প্রশ্ন : জমির মালিকের সাথে চুক্তি করা হ’ল যে বিঘা প্রতি জমির দাম ২৭ লাখ করে মালিককে দেওয়া হবে। এর উপর ক্রেতার নিকট থেকে দালাল যত বেশী মূল্য আদায় করতে পারবে সেটা তার লাভ। উভয়ের সন্তুষ্টিতে এরূপ চুক্তি করা জায়েয হবে কি?
রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে যদি তা হালাল হয় ।(হাকেম হা/২৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৫)।
ইমাম বুখারী ‘দালালের মজুরী’ শিরোনামে অধ্যায় রচনা করে বলেন, ইবনু সীরীন, আতা, ইব্রাহীম ও হাসান বাছরী দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেননি।
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও। এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইবনু সীরীন বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই (বুখারী ৮/৩০১)।
ক্বায়েস ইবনু আবী গারাযাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় আমাদের (ব্যবসায়ীদের) ‘সামাসিরাহ’ (السَّمَاسِرَةَ) বা দালাল বলা হ’ত। এরপর একদিন রাসূল (ছাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে গমন করেন এবং তিনি আমাদের পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নামে আখ্যায়িত করে বলেন, হে ব্যবসায়ী দল (يَا مَعْشَرَ التُّجَّارِ)! বেচা-কেনার মধ্যে (অনেক সময়) অনর্থক কথাবার্তা এবং কসম জড়িত হয়ে থাকে। তোমরা কিছু দান করে তাকে দোষমুক্ত করে নিবে (আবুদাঊদ হা/৩৩২৬; তিরমিযী হা/১২০৮; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩৫৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/১৫১)।
উল্লেখ্য যে, দালালীর নামে কোন প্রকার প্রতারণা করা যাবে না (বুখারী হা/৬৯৬৩)।
যেমনটি বর্তমান সমাজে বহুল প্রচলিত হয়ে গেছে। যেমন কোন পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্য ছাড়াই কেবল দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত দাম বলা, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলা, মিথ্যা কসম করা বা অতিরঞ্জিত কথা বলা ইত্যাদি।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।