দৈনন্দিন

প্রশ্ন : আলেমদেরকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কী?

 

উত্তর : উপমহাদেশে সম্মানসূচক সম্বোধন হিসাবে ‘মাওলানা’ (আমাদের বন্ধু/অভিভাবক) বলা হয়ে থাকে (ফীরোযুল লুগাত)

‘মাওলানা’ এমন একটি শব্দ যা আল্লাহ এবং বান্দা উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাস তার মালিককে যেন আমার মাওলা না বলে। কারণ তোমাদের সকলের মাওলা আল্লাহ রববুল আলামীন (মুসলিম হা/২২৪৯; মিশকাত হা/৪৭৬০)

উক্ত হাদীছে মাওলা অর্থ প্রভু তথা আল্লাহকেই বুঝানো হয়েছে। সেজন্য উক্ত শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।

অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর গোলামও নিজের মনীবকে প্রভু বলবে না, বরং সে যেন ‘আমার সর্দার’ ও ‘আমার মাওলা’ বলে (মুসলিম হা/২২৪৯; মিশকাত হা/৪৭৬০)

ছাহাবীগণ তাদের মনিবদের ক্ষেত্রে ‘মাওলা’ শব্দ ব্যবহার করেছেন (মুসলিম হা/১০২৫; মিশকাত হা/১৯৫৩)

যা প্রমাণ করে যে, আলেম ও বিজ্ঞজনদের ‘মাওলানা’ বলে সম্বোধন করা যাবে (নববী, আল-আযকার ৩৬২-৬৩, ৫৭৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১/১৯১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৯২৭)

 

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button