দৈনন্দিন

প্রশ্ন : মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলার ব্যবস্থা আছে। যা খেলে সব বয়সের মানুষ প্রচুর সময়ের অপচয় করে। এগুলো খেলা জায়েয হবে কি?

 

উত্তর : বৈধ অনেক খেলা সাধারণভাবে জায়েয হলেও যদি তা অনর্থক সময় নষ্টের কারণ হয় বা ইবাদতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। বর্তমানে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসে রক্ষিত গেম সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। যাতে বিনোদনের চাইতে ক্ষতি বেশী রয়েছে। তাছাড়া এতে ইবাদত পালনেও গাফলতি আসে।

সাধারণভাবে নিমেণাক্ত শর্ত সাপেক্ষে খেলাধুলা জায়েয হ’তে পারে- (১) আল্লাহর যিকর ও ছালাত থেকে বিরত না রাখা, (২) মূল্যবান সময়ের অপচয় না হওয়া, (৩) খেলার মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও দুশমনী সৃষ্টি না হওয়া, (৪) টাকা-পয়সার হার-জিত না থাকা তথা জুয়া না হওয়া, (৫) কোন প্রকার অশ্লীলতা বা শরী‘আতের সীমালংঘন না হওয়া (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩৯১ ‘প্রতিযোগিতা’ অনুচ্ছেদ)

বলা বাহুল্য, উক্ত শর্তসমূহ মেনে মোবাইল গেম খেলা প্রায় অসম্ভব। অতএব এসব খেলা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত’ (মুনাফিকূন ৬৩/৯)

 

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button