কুরবানী

প্রশ্ন : ঈদুল আযহার দিন ফকীর-মিসকীনরা যে গোশত পায়, সেগুলো তারা বিক্রি করে। উক্ত গোশত ক্রয় করা যাবে কি?

উত্তর : কুরবানীর।গোশত ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।

হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশত, চামড়া, ভূঁড়ি ইত্যাদি ছাদাক্বা করে দিতে আদেশ করলেন। তিনি গোশত দ্বারা কসাইয়ের মজুরী দিতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে তার মজুরী পরিশোধ করে দেব’ (বুখারী হা/১৭১৭; মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৬৩৮)

অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিছগণ বলেন, কুরবানীর চামড়া, গোশত এবং কুরবানীর প্রাণীর কোন অংশ বিক্রয় করা যাবে না (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৭/৪৭২-৭৩)

এর অর্থ এটা নয় যে, কুরবানীর কিছুই নিজে খাওয়া যাবে না। বরং নিজেরা খাবে, দান করবে ও সংরক্ষণ করবে। তবে এ দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। যদিও তা ফকীর-মিসকীনের মালিকানায় চলে যায়।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
Back to top button