অন্যান্য

প্রশ্ন: টিভিতে বা ইউটিউবে মহিলাদের কুরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত গজল, ইসলামী সঙ্গীত ইত্যাদি পরিবেশন করা

প্রশ্ন: রমজান মাসে বা অন্য সময়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বা ইউটিউবে মহিলারা কুরআন তিলাওয়াত,
হামদ, নাত বা ইসলামিক গান পরিবেশন করে। এটি ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক কতটুকু জায়েজ?
আমরা জানি যে, কোন নারীর গলার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষদের জন্য জায়েজ নাই।

 

 

উত্তর: মহিলাদের জন্য সুরেলা ও কোমল কণ্ঠে পর পুরুষদের সামনে কথা বলাই যেখানে জায়েজ নাই
সেখানে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে সুন্দর ও সুরেলা কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত, গজল বা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশ করা কিভাবে জায়েজ হতে পারে?
এটি নি:সন্দেহে ফিতনার কারণ। আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে প্রয়োজনে পুরুষদের সাথে কথার বলার সময় কোমল কণ্ঠ পরিহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন:


إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا


“যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না।
ফলে কুবাসনা করবে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। আর তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।”(সূরা আহযাব: ৩২)

 

সুতরাং মহিলাদের জন্য এভাবে উন্মুক্ত ভাবে সুর করে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত, গজল বা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশ করা জায়েজ নাই।
তবে কেবল তা যদি মাহরাম পুরুষ বা মহিলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তাতে কোনো আপত্তি নাই।

এগুলো টিভিতে প্রদর্শনী করলে বা উউটিউবে আপলোড দিলে কত লক্ষ লক্ষ ফাসেক-পাপাচারী ও দুর্বল ইমানদার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়-
যা অনেক ভালো মানুষের জন্যও ফিতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং তা বৈধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তৎসঙ্গে যদি কুরআন তিলাওয়াতকারী, সঙ্গীত পরিবেশকারী বা অনুষ্ঠান উপস্থাপনকারী যুবতী মেয়েদের মুখমণ্ডল খোলা থাকে/বেপার্দা অবস্থায় থাকে
অথবা সঙ্গীতের সাথে বাদ্যযন্ত্রের সংযোগ থাকলে তা হারাম হওয়ার বিষয়টি আরও জটিল হবে। আল্লাহ ক্ষমাকরুন।

 

জ্ঞাতব্য যে, মহিলাদের জন্য যেমন এভাবে গান-গজল পরিবেশন করা বৈধ নয় ঠিক তদ্রূপ পুরুষদের জন্য নন মাহরাম মহিলাদের সুর ও কণ্ঠস্বর উপভোগ করাও বৈধ নয়।

 

▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
উত্তর প্রদান:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button