অন্যান্য

প্রশ্ন : ঘরের বিভিন্ন স্থানে কুরআনের আয়াত, দো‘আ, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদির ক্যালিগ্রাফী টানিয়ে রাখা যাবে কি?

উত্তর : যাবে না। কারণ (১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্যে কুরআনের আয়াত,
দো‘আ ইত্যাদি দ্বারা বিভিন্ন রঙের ডিজাইনে নকশা করা হয়। অথচ কুরআন নাযিল
হয়েছে মানুষকে হেদায়াতের জন্য, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নয়। অতএব এরূপ কাজ
কুরআনকে তাচ্ছিল্য করার শামিল। (২) কেউ ঝুলিয়ে রাখে বরকত হাছিলের জন্য, যা
স্পষ্ট বিদ‘আত। (৩) কেউ টাঙিয়ে রাখে নানা বিপদাপদ বা শয়তানের অনিষ্টকারিতা
হ’তে রক্ষা পাওয়ার জন্য। যা স্পষ্ট শিরক। বস্ত্ততঃ রাসূল (ছাঃ) ও
ছাহাবীগণের যামানায় এরূপ কার্যকলাপের কোন অস্তিত্ব ছিল না। অতএব এসব
বিদ‘আতী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা আবশ্যক (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৩/১৯৭)

বর্তমানে কুরআনের আয়াতসমূহ ক্যালিগ্রাফিক ডিজাইনে লিখে মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/১৯০)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button