অন্যান্য

প্রশ্ন : ঘুমের মধ্যে ভয় লাগায় জনৈক মাওলানার নিকটে চিকিৎসা নেই। তিনি একটি সূরার নকশা দিয়ে সেটি বালিশের নীচে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষণে কুরআনের আয়াত এভাবে রাখা যাবে কি?

উত্তর : উক্ত চিকিৎসা মনগড়া ও শরী‘আত পরিপন্থী। তাই বালিশের নীচে কুরআনের আয়াতের
নকশা রাখা যাবে না। বরং ভয় থেকে বাঁচার জন্য সুন্নাতসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন
করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়।… কেউ
খারাপ স্বপ্ন দেখলে সে যেন আ‘ঊযুবিল্লাহি… রজীম পাঠ করে এবং বাম দিকে তিনবার থুক মারে। আর কারু কাছে যেন সেটা প্রকাশ না করে। এতে তার কোন ক্ষতি হবে না’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬১২)

ছহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, বাম দিকে ৩ বার থুক মারবে, ৩ বার আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম বলবে ও পার্শ্ব পরিবর্তন করবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬১৩-১৪ ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়)। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যদি ঘুমের মধ্যে ভীত হয়, তবে সে যেন পাঠ করে- ‘আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন গাযাবিহী ও ইক্বাবিহী ওয়া শার্রি ইবাদিহী ওয়ামিন হামাঝাতিশ শায়াত্বীনি ওয়া আইঁ ইয়াহযুরূন।

অর্থাৎ আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর পরিপূর্ণ কালেমা সমূহের
মাধ্যমে তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হ’তে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট হ’তে এবং শয়তানের
খটকা সমূহ হ’তে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হ’তে না পারে। কেননা সে তাকে
ক্ষতি করতে পারবে না’ (তিরমিযী হা/৩৫২৮; আবুদাঊদ হা/৩৮৯৩; মিশকাত হা/২৪৭৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৬০১)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button