প্রশ্ন : একটি বইয়ে পড়েছি ছাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ও বিদ‘আতীদের সালাম দিতেন না। এর সত্যতা আছে কি? এরূপ কাজ বর্তমানে অনুসরণযোগ্য কি?
যেমন ছাহাবী জাবের (রাঃ) ফাসেক ও অত্যাচারী উমাইয়া গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে সালাম দেননি (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০২৫)।
জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদ (রহঃ)-কে রাফেযী প্রতিবেশীর প্রতি সালাম প্রদানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি সালাম দিতে এমনকি উত্তর দিতেও নিষেধ করেন (আবুবকর খাল্লাল, আস-সুন্নাহ হা/৭৮৮)।
ইমাম আওযাঈ জনৈক তাক্বদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তিকে সালাম দিতে অস্বীকৃতি জানান (উকাইলী, যু‘আফা ১/১৭৯ পৃঃ)।
তবে ইবনে ওমর (রাঃ) ‘মদ্যপায়ীকে সালাম প্রদান করতে নিষেধ করেছেন’ মর্মে ছহীহ বুখারীতে তা‘লীক্ব হিসাবে বর্ণিত আছারটি যঈফ (আলবানী, যঈফুল আদাবিল মুফরাদ হা/১৫৮)।
ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতী নয় এরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংশোধনের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকা যাবে; স্থায়ীভাবে নয়। কারণ এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের যে ছয়টি অধিকার রয়েছে, তার মধ্যে সালাম বিনিময় অন্যতম (মুসলিম হা/২১৬২; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯২৫; মিশকাত হা/১৫২৫)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।