অন্যান্য

প্রশ্ন : একটি বইয়ে পড়েছি ছাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ও বিদ‘আতীদের সালাম দিতেন না। এর সত্যতা আছে কি? এরূপ কাজ বর্তমানে অনুসরণযোগ্য কি?

উত্তর : সালাফে ছালেহীনের মাঝে ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতীদের সালাম না দেওয়ার প্রচলন ছিল (দ্র: ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ২৭৪)

যেমন ছাহাবী জাবের (রাঃ) ফাসেক ও অত্যাচারী উমাইয়া গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে সালাম দেননি (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০২৫)

জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদ (রহঃ)-কে রাফেযী প্রতিবেশীর প্রতি সালাম প্রদানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি সালাম দিতে এমনকি উত্তর দিতেও নিষেধ করেন (আবুবকর খাল্লাল, আস-সুন্নাহ হা/৭৮৮)

ইমাম আওযাঈ জনৈক তাক্বদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তিকে সালাম দিতে অস্বীকৃতি জানান (উকাইলী, যু‘আফা ১/১৭৯ পৃঃ)

তবে ইবনে ওমর (রাঃ) ‘মদ্যপায়ীকে সালাম প্রদান করতে নিষেধ করেছেন’ মর্মে ছহীহ বুখারীতে তা‘লীক্ব হিসাবে বর্ণিত আছারটি যঈফ (আলবানী, যঈফুল আদাবিল মুফরাদ হা/১৫৮)

ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতী নয় এরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংশোধনের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকা যাবে; স্থায়ীভাবে নয়। কারণ এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের যে ছয়টি অধিকার রয়েছে, তার মধ্যে সালাম বিনিময় অন্যতম (মুসলিম হা/২১৬২; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯২৫; মিশকাত হা/১৫২৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button