অন্যান্য

প্রশ্ন: মহামারী উপলক্ষে “তওবা দিবস” পালন কতটুকু জায়েজ?

উত্তর: আমাদের সকলের জন্য আবশ্যক হল, আমাদের সীমা-সংখ্যা হীন পাপাচার, জুলুম ও অন্যায়-অপকর্মের দরুন মহান রবের দরবারে তওবা-ইস্তিগফার করা
এবং সব ধরণের পাপাচার এবং অন্যায়-অপকর্ম পরিত্যাগ করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা।

তওবা-ইস্তিগফার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে তা করতে হবে। কিন্তু ‘তওবা দিবস’ ঘোষণা করার মানে হল, ঐ দিন ঘটা করে তওবা করলাম পরে আগের মতই সব কিছু চলল।

সুতরাং ‘তওবা দিবস’ চালু করা এটি দ্বীনের মধ্যে একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের শামিল। তাই আলাদা তওবা দিবস বা তওবা সপ্তাহ ঘোষণা দেয়া বিদআত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরাম সহ যুগে যুগে নানা বিপদ-বিপর্যয় সৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু তারা একদিন ঘটা করে তওবা করেন নি।

তাই আসুন, আমরা তওবা করি, শিরক, বিদআত বর্জন করি, আল্লাহর নাফরমানী বন্ধ করি এবং আল্লাহর নিকট বিপদমুক্তির জন্য দুআ করি। তাহলে আশা করা যায়,
তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং আমাদের প্রতি দয়া করবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

 

 

  • আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

 

 

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button