অন্যান্য

প্রশ্ন : অনেক বক্তা গানের সূরে ওয়ায করে থাকেন। এটা কি জায়েয?

উত্তরঃ গানের সূরে বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়। বক্তব্যের উদ্দেশ্য হবে মানুষকে জান্নাতের পথ প্রদর্শন করা ও জাহান্নাম থেকে ভয় দেখানো।

আল্লাহ বলেন,

‘তোমরা মানুষকে ডাক তোমাদের প্রভুর রাস্তায় প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে’… (নাহল ১৬/১২৫)

রাসূল (ছাঃ) যখন জুম‘আর খুৎবা দিতেন,
তখন তাঁর দু’চোখ লাল হয়ে যেত। তাঁর কণ্ঠ উঁচু হ’ত এবং তাঁর ক্রোধ বেড়ে যেত। যেন তিনি সেনাবাহিনীকে কোন নির্দেশ দিচ্ছেন’ (মুসলিম হা/২০৪২; মিশকাত হা/১৪০৭)

সূর দিয়ে বক্তব্য দিলে মানুষ সূর শুনবে। কিন্তু কোন উপদেশ গ্রহণ করবে না। অবশ্য কুরআনের আয়াতসমূহ সুন্দর কন্ঠে তেলাওয়াত করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরেলা কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করেনা, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়’ (বুখারী হা/৭৫২৭, মিশকাত হা/২১৯৪)

সাবধান থাকতে হবে বক্তৃতার উদ্দেশ্য যেন দুনিয়া উপার্জন না হয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন,
‘অতদিন ক্বিয়ামত হবে না, যতদিন না এমন একদল লোক বের হবে যারা তাদের যবান
দিয়ে খাবে, যেমন গাভী তার জিহবা দিয়ে খায়’ (আহমাদ হা/১৫৯৭; মিশকাত হা/৪৭৯৯)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button