অন্যান্য

প্রশ্ন: পরবর্তীতে মূল্য বৃদ্ধির আশায় আলু-পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য স্টক রাখার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি?

উত্তর : বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করা হারাম। মা‘মার (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বেশী দামের আশায় সম্পদ জমা রাখে সে পাপী (মুসলিম হা/১৬০৫; আবূদাঊদ হা/৩৪৪৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, মূল্যবৃদ্ধির আশায় অপরাধী ব্যতীত আর কেউ খাদ্য-শস্য মওজুদ করে না (মুসলিম হা/১৬০৫; ইবনু মাজাহ হা/২১৫৪)

উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সময় যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য ক্রয় করে এবং তখন বিক্রি না করে অধিক মূল্য বৃদ্ধির আশায় তা সঞ্চিত রাখে, সে ব্যক্তি পাপী হবে। তবে যদি তা খাদ্যশস্য না হয়, তবে তাতে দোষ নেই (শরহ নববী)। অতএব পেঁয়াজ ও লবন মওজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ব্যবসায়ীরা তওবা করুন।

তবে সাধারণভাবে উৎপাদনের মৌসুমে হ্রাসপ্রাপ্ত মূল্যে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে অন্য মৌসুমে প্রচলিত বাজারমূল্যে বিক্রয় করায় কোন দোষ নেই। কেননা খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হ’লে তা জায়েয (আওনুল মা‘বূদ ৫/২২৬-২২৮ পৃঃ, ‘ইহতেকার নিষিদ্ধ’ অনুচ্ছেদ; নায়ল, ৫/২২২ পৃঃ, ‘ইহতেকার’ অনুচ্ছেদ)

 

▬▬▬🔹🔹🔹▬▬▬ 
সূত্রঃ মাসিক আত-তাহরীক

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button