লেনদেন ও ব্যবসা

প্রশ্ন : আমার এক মামাকে ৫০,০০০/- টাকা ধার দিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে তিনি এমন ঋণগ্রস্থ যে আমার সেই টাকাগুলো আর ফেরত দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রশ্ন হ’ল- এ বছর আমার যাকাতের কিছু অর্থ যেমন ১০,০০০/- টাকা তাকে না জানিয়ে কেটে রেখে বাকী টাকাগুলো পরের বছরগুলোতে যাকাতের অর্থ থেকে একই ভাবে কেটে রেখে তার ঋণ আদায় করে নিতে পারব কি?

উত্তর : এভাবে ঋণগ্রহীতাকে না জানিয়ে তার নামে যাকাত বাবদ অর্থ কর্তন করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২১০; আল মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/৩০০)

বরং এক্ষেত্রে দু’টি করণীয় হ’তে পারে।

১. ঋণগ্রহীতা যাকাতের হকদার হ’লে তাকে যাকাতের সম্পদ থেকে অর্থ প্রদান করবে, যা দ্বারা তিনি ঋণ পরিশোধ করবেন।

২. ঋণ পরিশোধে অক্ষম হ’লে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারে বা আরও অবকাশ দিতে পারে। কারণ আল্লাহ বলেন, তবে যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তাহ’লে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি তোমরা ওটা দান করে দাও (অর্থাৎ
তাকে ক্ষমা করে দাও), তবে সেটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ (বাক্বারাহ ২/২৮০)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button