লেনদেন ও ব্যবসা

প্রশ্ন : আমি একটি প্রতিষ্ঠানে মাল সরবরাহ করি। উক্ত প্রতিষ্ঠানে আমার ত্রিশ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এখন উক্ত টাকা উঠাতে বখশিশ প্রদান করা আবশ্যক। এ অবস্থায় আমার করণীয় কি?

উত্তর : বখশিশ তথা ঘুষ আদান-প্রদান কবীরা গুনাহ। এদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয় (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)
তবে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের স্বার্থে বাধ্যগত অবস্থায় জায়েয।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার নিকট কেউ কিছু চাইলে আমি তাকে দেই। আর তা নিয়ে সে হারাম কাজে লিপ্ত হয়। অথচ তা তাদের জন্য জাহান্নাম। ওমর (রাঃ) বললেন, তাহ’লে আপনি তাদের দেবেন কেন? তিনি বললেন, তারা না পেলে যাবে না (এজন্য দেই)। আর আল্লাহ কৃপণতাকে অপসন্দ করেন (আহমাদ হা/১১১৩৯; ছহীহুত তারগীব হা/৮৪৪)

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হাবশায় পলায়নকালে সন্ত্রাসীরা তাকে আটক করলে তিনি তাদেরকে দুই দিরহাম উপহার দেন। তাতে তারা তাকে ছেড়ে দেয় (বায়হাক্বী হা/২০২৬৯, ১০/২১ পৃ.; ইবনু আবী শায়বাহ হা/২২৪২৪)

উক্ত হাদীছদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে ইবনু তায়মিয়াহ, সুবকী, সুয়ূত্বী, যারকাশী প্রমুখ বিদ্বান বলেছেন, এরূপ বাধ্যগত অবস্থায় বখশিশ দেওয়া যাবে। আর এক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতা চরম গুনাহগার হবে, ঘুষদাতা নয় (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২৫২, ৩১/২৭৮; ফাতাওয়া সুবকী ১/২০৪; আল-আশবাহ ওয়ান নাযায়ের ১৫০ পৃ: আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়া ৬/১৬৫-১৬৭)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button