খ্রীষ্টানগন বলেন পবিত্র আত্না, পিতা ও পুত্র এই তিনটি এক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
প্রশ্ন:-খ্রীষ্টানগন বলেন পবিত্র আত্না, পিতা ও পুত্র এই তিনটি এক যেমন পানির তিন অবস্থা জলীয়, বাস্প ও কঠিন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
জবাব:- আলহামদুলিল্লাহ্।
পানির উপাদান vs মানুষ-
বৈজ্ঞানিকভাবে আমরা স্বীকার করি পানির তিন অবস্থা সম্ভবপর –
✔ জলীয়,
✔ বাস্পীয় এবং
✔ কঠিন
কিন্তু বিজ্ঞান বলে এ তিন অবস্থাতেও পানির উপাদান একই থাকে H2O দুটি এটম হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেন এমন উপাদান একই থাকে এবং আকৃতি পরিবর্তন হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই।
গঠন ও উপাদান কি পরিবর্তন হয়?-
এবার দেখা যাক ত্রিতত্ববাদের ব্যাপারে গঠন কি পরিবর্তন হয়? বিতর্কের খাতিরে মানলাম গঠন পরিবর্তন হয়। উপাদান কি বদল হয়? পিতা ও পবিত্র আত্নার অস্তিত্বে প্রকাশভঙ্গি আত্না। অন্য পক্ষে মানুষ তৈরী হাড়-মাংস দিয়ে, মানুষের খাবারের প্রয়োজন হয় কিন্তু সৃষ্টিকর্তার খাবারের প্রয়োজন হয়না। এজন্যই যিশু বলেছিলেন-
`আমার হাত ও পা স্পর্শ করে দেখ আত্নার কোন হাড়-মাংস নেই এবং তিনি হাত দিলেন অনুসারিরা উল্লসিত হল। তিনি বললেন তোমাদের কাছে খাবার কিছু আছে তারা তাকে ভাজা মাছ খেতে দিলেন তিনি খেলেন।’ Gospel of Luke-24, verse-36-39
খেয়ে কি প্রমান করলেন তিনি সৃষ্টিকর্তা? তিনি প্রমান করলেন তিনি জীবিত এবং মৃত আত্না নন কারন আত্নার খাবারের প্রয়োজন হয়না এবং আত্নার কোন হাড়-মাংস নেই। সুতরাং এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমান করা অসম্ভব যে পবিত্র আত্না, পিতা ও পুত্র এই তিনটি এক যেমন পানির তিন অবস্থা জলীয়, বাস্প ও কঠিন। আত্না+পিতা+পুত্র = সৃষ্টিকর্তা।
ত্রিতত্ববাদ বাইবেলের কোথাও নেই-
এই ত্রিতত্ববাদ বাইবেলের কোথাও নেই। কিন্তু কুরআনে আছে –
‘‘আর বলোনা তিনজন থামো-তোমাদেও জন্য মঙ্গলময়। নিঃসন্দেহে আলাহ হচ্ছেন একক উপাস্য, সমস্ত মহিমা তাঁরই যে তার কোন পুত্র থাকবে!’’ সুরা নিসা-৪, আয়াত-১৭১
যিশু কখনো বলেননি তিনি সৃষ্টিকর্তা। ত্রিতত্ববাদের মতবাদ বাইবেলে একমাএ কাছাকাছি অনুধাবন করা যায়-
`স্বর্গে তিনটি বিবরনী রয়েছে আত্না, পিতা ও পুত্র এবং এই তিনটি এক।’ 1st Epistle of John-5, Verse-7
বাইবেলের এই অংশটি দুষিত এবং মানুষের দ্বারা সাজানো!!
কিন্তু আপনি যদি নতুন সংষ্করনের বাইবেল পড়েন যা ৩২ জন বাইবেল আলেম দ্বারা সংশোধিত ও ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত তারাঁ বলেছেন বাইবেলের এই অংশটি দুষিত এবং মানুষের দ্বারা সাজানো, বানোয়াট তারা এই অংশকে বাইবেলে স্থান দেননি ছুড়েঁ ফেলেছেন। যিশু কখনোই নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবী করেননি উপরন্তু তিনি বলেছেন-
‘পিতা আমা হতে শ্রেষ্ঠ’। Gospel of john-14. verse-28
‘আমার পিতা সর্বশ্রেষ্ঠ’ । Gospel of john-10. verse-29
`আমি নিজের ইচ্ছায় কিছুই করতে পারিনা। আমি যাই শুনি তাই বিচার করি, আমি নিজের ইচ্ছা খুজিঁনা পিতার ইচ্ছা ব্যতীত।’ Gospel of john-5. verse-30
যদি কেউ বলে আমার ইচ্ছা নয় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা তবে সে মুসলিম-
মুসলিম অর্থ নিহের ইচ্ছাকে আল্লাহর নিকট সর্মপন করে দেয়া। যিশু ছিলেন আল্লাহর মনোনিত সম্মানিত বার্তাবাহক। মুসলিমগন বিস্বাস করেন তিনি আলৌকিকভাবে পুরুষের স্পর্শ ব্যতীত মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহন করেছেন ও তিনি সৃষ্টিকর্তার আদেশে মৃতকে জীবন্ত করতেন। তিনি অন্ধকে দৃষ্টি দিতেন সৃষ্টিকর্তার আদেশে। মুসলিমগন যিশু অথাৎ ঈসা(আঃ)-কে একজন মযার্দাবান বার্তাবাহক বা নবী বলে বিস্বাস করেন কিন্তু তিনি সৃষ্টিকর্তা নন ত্রিতত্ববাদের কোন অস্তিত্ব নেই। পবিত্র কুরআন বলেন সুরা –
‘‘আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়,আলাহ আত্ননির্ভর ,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি । তাঁর মত আর কেউ নেই ’’। ইখলাস-১১২, আয়ত-১-৪
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন।
মূল: ড. জাকির নায়েকের লেকচার হতে অনুবাদকৃত
অনুবাদ: শাহরিয়ার আজম