কসম ও মান্নত

প্রশ্ন : আমি প্রকাশ না করার ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও একজনের গোপন পাপ তার পিতা-মাতার নিকটে প্রকাশ করে দিয়েছি। আমার লক্ষ্য ছিল তার অভিভাবককে বলে তাকে সংশোধন করা। এক্ষণে ওয়াদা ভঙ্গের জন্য আমি গোনাহগার হব কি? এজন্য তার নিকটে ক্ষমা না নিলে ক্ষমা হবে কি?

উত্তর : এরূপ ওয়াদা ভঙ্গের কারণে গুনাহগার হবে না। আর এজন্য তার নিকট ক্ষমা চাইতেও হবে না (ইমাম শাফেঈ, আল-উম্ম, ৮/৬৩১)

কোন ব্যক্তিকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা বৈধ বা তার গোপন কথা এমন ব্যক্তিকে বলা যায়, যার মাধ্যমে সে সংশোধন হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এরূপ মানত করে যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করবে, সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি মানত করে যে, সে আল্লাহর নাফরমানী করবে, সে যেন তাঁর নাফরমানী না করে (বুখারী হা/৬৭০০; মিশকাত হা/৩৪২৭)

কয়েকটি ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়, যেমন

(১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য

(২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে
সাহায্য করার জন্য

(৩) হাদীছের সনদ যাচাই ও ফৎওয়া জানার জন্য

(৪) মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করা ও তাদের মঙ্গল কামনার ক্ষেত্রে

(৫) পাপাচার ও বিদ‘আতে লিপ্ত হ’লে তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে

(৬) কোন ব্যক্তির প্রসিদ্ধ নাম ধরে পরিচয় দেওয়া। যেমন : কানা, খোড়া ইত্যাদি। অবশ্য এরূপ নামে
ডাকা তার মর্যাদাহানির উদ্দেশ্যে হওয়া যাবে না (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃ. ৫৭৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button