ইসলাম ও হিন্দুধর্ম সম্পর্কে হিন্দুগনের প্রশ্ন

হিন্দু ও মুসলিমগন ধর্মের ক্ষেত্রে যেভাবে একই ধারনায় আসতে পারে

প্রশ্ন : হিন্দু ও মুসলিমগন ধর্মের ক্ষেত্রে কিভাবে একই ধারনায় আসতে পারেন?

জবাবঃ মানুষের চিন্তা ধারায় নিঃসন্দেহে পার্থক্য বিদ্যমান সেক্ষেত্রে আমাদের তথা মানবজাতিকে শান্তির ছায়াতলে আনয়নের লক্ষ্যে কুরআন মাজীদে আল্লাহপাক অতীব সুন্দর একটি সূত্র আমাদের সামনে পেশ করেছেন –
‘‘হে গ্রন্থপ্রাপ্ত লোকেরা , আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে পরস্পর সমঝোথার মাঝে যেন আমরা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো প্রার্থনা করবোনা’’ সুরা আল ইমরান-৩, আয়াত-৩৪
দুই ধর্মের মাপে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভিন্নতা আমরা ভুলে যাই। পার্থক্যটা আমরা দুরে সরিয়ে দিয়ে আগে সমঝোথায় আসি দুধর্মের মধ্যে একই মতবাত কি, সাদৃশ্যতা খুজেঁ বের করি। আমরা বাইবেল, গীতা, কুরআন সবকিছু একসাথে নিয়ে আগে দেখি সবগুলোর মধ্যে মিল রয়েছে কোথায়, যেটা সবচাইতে মিল সেটা হলো –
‘‘ আমরা এক সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করবো।’’ হিন্দুধর্মে উলেখ রয়েছে –
‘‘ইক্কাম ইভাদিতিয়াম’’ অর্থ -সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয়। ছন্দগয়া উপনিশদ-৬, খন্ড-২,শ্লোকা-১
‘‘না চাসয়া কাছিজ জানিতা না চাদিপা’’ অর্থ -”তার কোন সৃষ্টিকর্তা নেই মাতাপিতা নেই” সেতালভেতারা উপনিশদ-৬, শ্লোকা-৯
‘‘না কাছিয়া প্রতিমাআস্থি’’ অর্থ তাঁর কোন প্রতিচ্ছবি বা মূর্তি নেই। সেতাসভেতারা উপনিশদ-৪, শ্লোকা-১৯

অনুরুপ আল্লাহ বলেন-
‘‘ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, আল্লাহ আত্ননির্ভর ,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি । তাঁর মত আর কেউ নেই ’’ সুরা ইখলাস-১১২,আয়াত-১-৪

সুত্রঃ মূল: ড. জাকির নায়েক
অনুবাদ: শাহরিয়ার আজম

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
Back to top button