ডঃ জাকির নায়েক এর প্রশ্নোত্তর পর্ব সমগ্র

ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম কারন কুরআনে বলা হয়েছে যেখানে কাফের পাও হত্যা কর?

প্রশ্ন:-ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম কারন কুরআনে বলা হয়েছে যেখানে কাফের পাও হত্যা কর?

উত্তরঃ আলহামদু লিল্লাহ।

ইসলামকে নিন্দা করার অন্যতম পদ্বতি হলো কুরআনের আয়াতকে র্পূবসুত্র হতে সরিয়ে উপস্থাপন করা। অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে সবচাইতে যে আয়াতটির অপব্যবহার করা হয় তা হলো সুরা তওবা-৯, আয়াত-৫-

‘‘যেখানেই কাফেরদের খুঁজে পাবে হত্যা কর।’’ সুরা তওবা-৯, আয়াত-৫

আয়াতটি প্রসঙ্গ ও পূর্বসুত্রতার বহিভূত-

এবং আপনি যদি পবিত্র কুরআন খুলে দেখেন সে আয়াতটি দেখতে পাবেন। কিন্তু আয়াতটি প্রসঙ্গ ও পূর্বসুত্রতার বহিভূত। মিডিয়া কুরআনের আয়াতকে অপ্রাসঙ্গিকরুপে সাধারন মুসলিম ও অমুসলিমগনের নিকট উত্থাপন করছে। এই আয়াতখানি নাযিল হয়েছে মুসলিম ও মক্কার মুসলিমদেও চুক্তির উপর ভিত্তি করে এবং এই শান্তি চুক্তিটি অমুসলিমগন অযাচিতভাবে ভঙ্গ করে। তাই আল্লাহ অমুসলিমদের সতর্ক সংকেত দিয়ে বলছেন ৪ মাসের মধ্যে শান্তিচুক্তি সঠিক করতে অথবা যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হতে এবং যুদ্ধের ময়দানে আল্লাহ মুসলিমদের উৎসাহিত করছেন ভয় পাবেনা যেখানেই শত্রুকে দেখবে হত্যা করবে। এটা অতি সাধারন যে কোন সেনা প্রধান সৈন্যদের উদ্দীপিত করা জন্য অবশ্যই বলবেন যেখানেই শত্রু পাবে হত্যা করবে, সেতো আর নিজের সৈন্যকে বলবেনা-‘ যেখানে শত্রু খুজে পাও অস্ত্র ফেলে দিয়ে খুন হও’। উদাহরন স্বরুপ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন হানাদার পাকিস্তানীদের সাথে লড়ছিল তখন প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডারগন অনুপ্রানিত করছিলেন ‘যেখানেই পাকিস্তানী র্ববরদের পাও হত্যা কর’ দেশ স্বাধীনের জন্য পাকিস্তানীদের অত্যাচারী, চরিত্রহীন পাষন্ডদের হামলার জবাব দেয়া জন্য প্রতিটি আর্মি জেনারেল এই উক্তিটি করবেন। কিন্তু এখন যুদ্ধ নেই ২০০৯ সালে কেউ যদি কোন সেনাপ্রধান বলেন-‘পাকিস্তানী হত্যা কর’ তবে তা হবে অপরাধ ও পূর্বসুত্রের বাইরে। অতএব আয়াতটির প্রাসঙ্গিকতা হলো যুদ্ধের পরিস্থতির উপর নির্ভর করে।

কট্টরপন্থি অমুসলিম লেখক অরুনসূরি-

ইসলামের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থি অমুসলিম লেখক অরুনসূরি ‘ফতওয়া’ নামক বইতে এই আয়াতটির অপব্যখ্যা দিয়েছেন, তিনি সুরা তওবার ৫ নং আয়াত হতে ৭ নং আয়াতে long jump দিয়ে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। কেন? কারন ৬ নং আয়াতে তার সমস্যা সমাধান আছে তা হলো-

‘‘আর যদি মুশরিকদের কোন একজন তোমার কাছে আশ্রয় চায় তবে তাকে আশ্রয় দাও, যেন সে আল্লাহর বানী শোনে তারপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌছেঁ দিয়ো।’’

শান্তিই শ্রেষ্ঠতর-

বর্তমানে পৃথিবীর সদয়পূর্ন সেনাপ্রধান হয়তো বলতে পারেন শত্রুকে ছেড়ে দাও বা যেতে দাও। কুরআন বলছে যদি শত্রুরা শান্তি চায় তবে যুদ্ধ করো অধিকন্তু তাদের এমন স্থানে পৌছেঁ দাও যেখানে তারা নিরাপদ বোধ করে ও আল্লাহর বানী অনুধাবন করতে পারে। আপনি কুআনের আয়াত পড়বেন যা যুদ্ধ সমন্ধে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে, নির্মম-পাশবিকতার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আয়াতের শেষে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন ‘শান্তিই শ্রেষ্ঠতর’ কারন ইসলাম শান্তির ধর্ম। অকারনে কারো রক্তপাত বা যুদ্ধের আহবান সেটি অমুসলিমদের বিরুদ্ধে হোক ইসলাম তা কখনোই সমর্থন করেনা। আল্লাহপাক বলেন –

‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি কওে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’ মায়েদা-৫:আয়াত-৩২

✔ তৃতীয় অপপ্রচার হলো কুরআন অথবা হাদীসের অনুবাদকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা যা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের মধ্যে নেই এবং কোন সময় ছিলনা উদ্দেশ্য ইসলামের দূর্নাম রটানো।

✔ আরেকটি হলো ইসলামের ন্যায্য অনুবাদ প্রকাশ করে ঠিকই কিন্তু তা বিকৃত কৌশলে প্রয়োগ করে,ইসলাম বিদ্বেষীদের দাবী ইসলাম পৃথিবীর জন্য মানবজাতির জন্য সমস্যা।

আসলে ইসলাম সমস্যা তো নয়ই ইসলাম মানবজাতির সকল সমস্যার একমাত্র উজ্জ্বল সমাধান.

সূত্রঃ ডঃ জাকির নায়েক এর প্রশ্ন – উত্তর পর্ব সমগ্র

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button