ভ্রাতৃঃ ও সৌহার্দ্যে ইসলামের মতবাদ কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিবিশেষে?
প্রশ্ন : ভ্রাতৃঃ ও সৌহার্দ্যে ইসলামের মতবাদ কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিবিশেষে?
উত্তর :- আলহামদুলিল্লাহ্।
মানুষের মান- সম্মানের মাপকাঠি আল্লাহর কাছে-
আল্লাহর কাছে মানুষের মানুষের মর্যাদা হলো তার কর্মে ও চিন্তায় । মানুষের ধন, দারিদ্রতা, গায়ের রং, জাতি, শিক্ষা, সমৃদ্ধতার উপর আল্লাহ মানুষের সম্মান বিচার করেননা, তিনি তার ধার্মীকতা এবং সত্যবাদিতার উপর বিচার করেন। মুসলিমগন আর্ন্তজাতিক ভ্রাতৃত্ব ও সুসম্পর্ক প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ বার করে প্রমান করে যখন স্বলাতের জন্য দাড়ায় কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে । মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন-
‘‘যখন তোমরা স্বলাতে দাঁড়াবে কাধেঁ কাধঁ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে মিলিয়ে দাড়াঁবে। যার ফলে শয়তান তোমাদের মাঝে অবস্থান করতে না পারে।’’ বুখারী শরীফ-১,খন্ড-৭৫,হাদীস-৬৯২
উক্ত হাদীসে কি দু শিংওয়ালা শয়তানের কথা বলা হয়েছে?-
নবী (ﷺ) দু শিংওয়ালা শয়তানের কথা বলেননি তিনি ধনী দরিদ্রের, বর্ন, গোত্রের শয়তানির কথা উল্লেখ করেছেন, কাধেঁ কাধঁ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে মিলিয়ে একসাথে সারিবদ্ধ ভাবে স্বলাতে দাড়ালে ধনী বা দরিদ্রতার দুষ্ট শয়তানি চিন্তা তার মধ্যে আসবেনা। ব্যবহারিক ভাবে ইসলাম প্রমান করে
আন্তর্জাতিক সৌহার্দ হজ্জের সময়-
শুধু কাগজে কলমে নয় ব্যবহারিক ভাবে ইসলাম প্রমান করে আন্তর্জাতিক সৌহার্দ হজ্জের সময় যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে মানুষ হজ্জ্ব করতে আসে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ লোক একসাথে বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ হতে। মাত্র দুখন্ড সেলাই বিহিন কাপড় সাথে নিয়ে ধনী, দরিদ্র একত্রে হজ্ব করেন এবং সরবে উচ্চারন করেন -এক আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ তোমার বান্দা হাজির। সে সময় কে কোটিপতি বা রাস্তার ভিখারী বোঝার কোন পথ থাকেনা। কাধেঁর সাথে কাধঁ মিলিয়ে প্রায় প্রতি বছর ১৫-২০ লক্ষ হাজী এভাবে সৌহার্দ্যর ও ভাতৃত্বের অপূর্ব প্রমান উপস্থাপন করেন। ইসলাম তাই আন্তজার্তিক ভাতৃত্বের একটি প্র্যাকটিকেল উদাহরন যা অন্য ধর্মে পাওয়া যায়না।
মনুষত্ব ও মানবিকতা-
কোন কারন ব্যতীত কারো ক্ষতি বা মানব হত্যা ইসলাম ধর্মে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কুরআনে বলা হয়েছে –
‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’ সুরা মায়েদা-৫:আয়াত-৩২
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন।
সুত্রঃ ড. জাকির নায়েক এর প্রশ্ন – উত্তর পর্ব সমগ্র