ডঃ জাকির নায়েক এর প্রশ্নোত্তর পর্ব সমগ্র

সকল ধর্মই নিজেদের সঠিক বলে দাবী করে, তবে একজন মানুষ কিভাবে বুঝতে পারবে কোন ধর্ম এর ধর্মগ্রন্থ সঠিক?

প্রশ্ন :-সকল ধর্মই নিজেদের সঠিক বলে দাবী করে, তবে একজন মানুষ কিভাবে বুঝতে পারবে কোন ধর্ম এর ধর্মগ্রন্থ সঠিক?

উত্তর :- আলহামদুলিল্লাহ্‌।

কুরআনে উল্লেখ রয়েছে-

‘‘আর অবশ্যই তোমার পূর্বে প্রত্যেক জাতির জন্য রাসূল পাঠিয়েছি।’’ সুরা রদ-১৩, আয়াত-৩৮

‘আর এমন কোন জাতি নেই যাদের জন্য একজন সতর্ককারী না গেছেন।’ সুরা ফাতির-৩৫,আয়াত -২৪

বেদ ও পূরানে মোহাম্মদ (صلى الله عليه و سلم)-এর আগমনী তথ্য-

যত ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে রয়েছে বেদ, পুরাণ, রামায়ন, ধর্মপাঠ, বাইবেল বেশিরভাগ ধর্মগ্রন্থই একজন শেষ ঋষি বা বার্তাবাহকের নাম মোহাম্মদ (ﷺ) উল্লেখ করেছে যিনি ভবিষ্যতে আসবেন। বেদে যা বিশদভাবে বর্ননা রয়েছে-

বেদ-বইহিম নংশ্লোকা নংবেদ-বইঅধ্যায় নংশ্লোকা নং
রিগবেদ-১১৮ইয়াজুরবেদ২০৩৭
রিগবেদ-১১০৬ইয়াজুরবেদ২০৫৭
রিগবেদ-১১৪২ইয়াজুরবেদ২১৩১
রিগবেদ-২ইয়াজুরবেদ২১৫৫
রিগবেদ-৫ইয়াজুরবেদ২৮
রিগবেদ-৭ইয়াজুরবেদ২৮১৯
রিগবেদ-১০৬৪ইয়াজুরবেদ২৮৪২
রিগবেদ-১১৩   
রিগবেদ-৬১৬ইয়াজুরবেদ৩২
ভগবৎগীতা২০ইয়াজুরবেদ৪০
ভগবৎগীতা১০ইয়াজুরবেদ৪০

ভবিষ্যৎ পুরানের বর্ননায় –

‘একজন মালিচ্চার (বিদেশীর) আগমন হবে । তাঁর নাম হবে মোহাম্মদ। আরবদেশে এই মহাঋষী এবং তাঁর সঙ্গীদের আগমনের পর রাজা (ভোজ)‘পঞ্চগয়া’ ও গঙ্গার পানি আন্তরিকতার সাথে তাঁকে (মোহাম্মদ(ﷺ)-কে) উৎসসর্গ করে সমস্ত সম্মান দিয়ে বলবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি ক্ষমা চাই ।ওহে! মানবজাতির গর্ব, আরবের অধিবাসী তুমি অনিষ্ঠের রিপু (শয়তান) দমন করার জন্য শক্তিশালী যোদ্ধা দল গঠন করেছো এবং শত্রু হতে তুমি নিজেকে রক্ষা করবে ’’ প্রতিস্বর্গ পর্ব-৩,খন্ড-৩,অধ্যায়-৩,শ্লোকা-৫-৮

এই ভবিষাৎবানী পরিস্কারভাবে নির্দেশনা দেয়-

✔ ঋষী বা নবীর নাম হবে মোহাম্মদ ।

✔ তিনি আরবের অধিবাসী হবেন ,সংস্কৃতে ‘মরুসৃল’ অর্থ মরুভুমি ।

✔ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর অনুসারী বা সাহাবাগনকে কোন নবীর এতো অনুসারী ছিলো না যা তাঁর ছিলো ।

✔ তাঁকে বলা হয়েছে মানবজাতির গর্ব (পর্বতিসনাথ),পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে সূরা আহযাব-৩৩,আয়াত-২১-‘‘নিশ্চই আপনি আল্লাহর বার্তাবাহক এবং সচ্চরিত্রের অধিকারী’’

✔ তিনি রিপু (শয়তান)দমন করবেন অর্থাৎ মূর্তিপুজা এবং অন্যায় রোধ করবেন।

✔ বলা হয়েছে তিনি নবী (ﷺ) কে শত্রু হবে রক্ষা করা হবে । মক্কার পৌত্তলিকরা অনেকবারই তাঁর জীবন সংহারের অপ্রান চেষ্ঠা করেছে কিন্তু সক্ষম হয়নি ।

✔ রাসূল (ﷺ) সরাসরি দৈহিকভাবে গঙ্গার স্নান করেননি সাধারনত ধারনা করা হয় গঙ্গা বা পঞ্চগয়ার পানি পবিত্র এই অর্থে বোঝানো হয়েছে যে তিনি সকল পাপ ধুয়ে মুছে দুর করে দেবেন, অর্থ হলো তিনি পাপমুক্ত মাসুম।

বাইবেলেও কি উল্লেখ আছে?-

বাইবেলেও বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে মোহাম্মদ (ﷺ) পৃথিবীতে আসবেন –

‘‘তোমাদের অনেক কিছুই বলার আছে যা তোমরা অনুবাধন করনা, তিনি পবিত্র আত্না আসবেন সত্যের দিশারী হয়ে তিনি সত্যের দিকে তোমাদের আহবান করবেন। তাঁর উপর যা আকাশবানী হবে তিনি তা প্রকাশ করবেন যা নিজ হতে নয়, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করবেন।’’ Gospel of john-16, ver-12-14

এছাড়াও Books of Barnebas- এ তাঁর নাম ‘মোহাম্মদ’ নামে সুপষ্ট আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আল্লাহ বলেন-সুরা আরাফ-৭, আয়াত-১৫৭-

‘‘সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী (অশিক্ষিত) নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীলে লেখা দেখতে পায়।’’

পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ মানুষের দ্বারা তা বিকৃত হয়ে গেছে-

অতএব আপনি দেখবেন প্রায় সব ধর্মগ্রন্থে মোহাম্মদ (ﷺ) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি সত্যের বার্তা নিয়ে আসবেন। যত ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে এসেছে তা শুধু নির্দ্দিষ্ট জাতি এবং নির্দ্দিষ্টলোকের জন্য এবং মানুষের দ্বারা তা বিকৃত হয়ে গেছে। সর্বশেষ বার্তাবাহক মোহাম্মদ (ﷺ) পবিত্র কুরআন পেয়েছেন এবং সৃষ্টিকর্তা তা মানুষের হাতে বিকৃত হতে রক্ষা করছেন। আল্লাহ বলেন সুরা হিজর-১৫,আয়াত-৯-

‘‘আমরা কুরআন অবতীর্ন করেছি এবং এর সংরক্ষনকারী আমরা নিজেই।’’

অতএব সঠিক ধর্ম অনুসরন করতে হলে আপনাকে এক সৃষ্টিকর্তাকে অনুরন করতে হবে এবং সর্বশেষ বার্তাবাহক বা নবীকে স্বীকার করতে হবে।

সুত্রঃ ড. জাকির নায়েক এর প্রশ্ন – উত্তর পর্ব সমগ্র

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
Back to top button