প্রশ্ন: আরব উপ-দ্বীপে অমুসলিমদের প্রবেশ করানোর হুকুম কী?
উত্তর: অমুসলিমদেরকে আরব উপ-দ্বীপে প্রবেশ করানোতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর বিরোধীতা করার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় বলেন,
«أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ»
“তোমরা মুশরিকদেরকে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দাও।”[1]
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ حَتَّى لَا أَدَعَ إِلَّا مُسْلِمًا»
“আমি অবশ্যই ইয়াহূদী-নাসারাদেরকে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দেব। তাতে মুসলিম ব্যতীত অন্য কোনো মানুষকে থাকতে দেব না।”[2]তবে যদি কোনো প্রয়োজন দেখা দেয় এবং উক্ত প্রয়োজন পূরণ করার মত কোনো মুসলিম পাওয়া না যায় তবে তাদেরকে আরব উপ-দ্বীপে প্রবেশ করানোতে কোনো দোষ নেই। তবে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি প্রদান করা যাবে না। যেখানে শর্ত সাপেক্ষে জায়েয বলা হয়েছে, সেখানেও যদি আকীদা কিংবা চরিত্রগত কোনো ফাসাদের সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাদেরকে আরব উপ-দ্বীপে প্রবেশ করানো হারাম। কেননা জায়েয বস্তুতে যদি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তখন তা হারামে পরিণত হয়ে যায়। কাফিরদেরকে এখানে আনা হলে যে সমস্ত ভয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তা হলো তাদেরকে ভালোবাসা, তাদের কুফুরীতে সন্তুষ্ট থাকা এবং দীনের প্রতি দৃঢ়তা চলে যাওয়া ইত্যাদি। আল্লাহর অনুগ্রহে মুসলিম বিশ্বে যথেষ্ট পেশাদার লোক রয়েছে। আমরা তাদেরকেই যথেষ্ট মনে করতে পারি।
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।