ইতিহাস ও জীবনী

প্রশ্ন : ওছমানী শাসক আরতুগ্রুল গাযীর চরিত্র অবলম্বনে যে টিভি সিরিয়াল বানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর ঐতিহাসিক সত্যতা কতটুকু? এটা দেখা জায়েয হবে কি?

উত্তর ওছমানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ওছমান গাযীর পিতা আরতুগ্রুল গাযী (মৃত্যু ১২৮০খৃ.)-এর উত্থানের কাহিনী সম্বলিত যে কাল্পনিক তুর্কী চিত্রনাট্য বর্তমানে টিভি সিরিয়াল হিসাবে চলছে, তা ইতিহাসের বিভিন্ন প্রামাণ্য গ্রন্থে বর্ণিত ঘটনাবলীর মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যায় (মুহাম্মাদ ফরীদ বেক, তারীখুদ দাওলাহ ১/১১৩-১১৬; ড. আলী মুহাম্মাদ ছাল্লাবী, আদ-দাওলাতুল ওছমানিয়া ১/৪০-৯৩, ২০০)

উক্ত ধারাবাহিকে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশকে গুরুত্ব প্রদান করা হ’লেও বেপর্দা নারী চরিত্র সহ বহু শরী‘আত বিরোধী দৃশ্যপট রয়েছে। এছাড়া আক্বীদাগতভাবে সেখানে ইবনু আরাবী ও তাঁর ভ্রান্ত ছূফীবাদকে তুলে ধরা হয়েছে।
যা একই সাথে তাক্বওয়াবিরোধী এবং তাওহীদের স্বচ্ছ আক্বীদা বিনষ্টকারী। অতএব এসব অনুষ্ঠান দেখা থেকে বিরত থাকা একান্ত কর্তব্য। প্রকাশ থাকে যে, নাট্যচিত্রগুলোর বেশীরভাগ অংশই মিথ্যা ও অতিরঞ্জনে ভরপুর। এতে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি সম্পর্কে দর্শকদের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মানুষের মনোরঞ্জন ও বিনোদনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে এসব ঐতিহাসিক ঘটনা ও চরিত্রসমূহের প্রকৃত গুরুত্ব হারিয়ে যায়। সর্বোপরি যে কোন অভিনয়কর্মকেই তাক্বওয়া ও ইখলাছবিরোধী এবং আল্লাহ্র স্মরণ থেকে গাফেলকারী কাজ হিসাবে
অধিকাংশ বিদ্বান অপসন্দ করেছেন। অপরদিকে কুরআনে বর্ণিত কাহিনী ও নবী-রাসূলগণের কাহিনী নিয়ে অভিনয়কর্মকে ওলামায়ে কেরাম হারাম ঘোষণা করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৩/২৬৮-৭০; ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/৭২)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button