প্রশ্ন : ওছমানী শাসক আরতুগ্রুল গাযীর চরিত্র অবলম্বনে যে টিভি সিরিয়াল বানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর ঐতিহাসিক সত্যতা কতটুকু? এটা দেখা জায়েয হবে কি?
উক্ত ধারাবাহিকে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশকে গুরুত্ব প্রদান করা হ’লেও বেপর্দা নারী চরিত্র সহ বহু শরী‘আত বিরোধী দৃশ্যপট রয়েছে। এছাড়া আক্বীদাগতভাবে সেখানে ইবনু আরাবী ও তাঁর ভ্রান্ত ছূফীবাদকে তুলে ধরা হয়েছে।
যা একই সাথে তাক্বওয়াবিরোধী এবং তাওহীদের স্বচ্ছ আক্বীদা বিনষ্টকারী। অতএব এসব অনুষ্ঠান দেখা থেকে বিরত থাকা একান্ত কর্তব্য। প্রকাশ থাকে যে, নাট্যচিত্রগুলোর বেশীরভাগ অংশই মিথ্যা ও অতিরঞ্জনে ভরপুর। এতে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি সম্পর্কে দর্শকদের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মানুষের মনোরঞ্জন ও বিনোদনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে এসব ঐতিহাসিক ঘটনা ও চরিত্রসমূহের প্রকৃত গুরুত্ব হারিয়ে যায়। সর্বোপরি যে কোন অভিনয়কর্মকেই তাক্বওয়া ও ইখলাছবিরোধী এবং আল্লাহ্র স্মরণ থেকে গাফেলকারী কাজ হিসাবে
অধিকাংশ বিদ্বান অপসন্দ করেছেন। অপরদিকে কুরআনে বর্ণিত কাহিনী ও নবী-রাসূলগণের কাহিনী নিয়ে অভিনয়কর্মকে ওলামায়ে কেরাম হারাম ঘোষণা করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৩/২৬৮-৭০; ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/৭২)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।