প্রশ্ন : সম্প্রতি তুরষ্কে আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এভাবে কোন গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করা জায়েয হবে কি?
করেন। এটি কোন অন্যায় বা স্বেচ্ছাচারিতামূলক সিদ্ধান্ত ছিল না। কেননা বিজিত এলাকায় অমুসলিমদের কোন উপাসনালয়কে মসজিদে রূপান্তরের জন্য ইসলামী শরী‘আতের আলোকে যেসব নীতিমালা ওলামায়ে কেরাম উল্লেখ করেছেন, তা এখানে পূর্ণভাবে অনুসৃত হয়েছে।
যেমন: (ক) যদি বিজিত এলাকাটি সন্ধির মাধ্যমে অধিকৃত হয়, তবে সন্ধিচুক্তি অনুসারে তার হুকুম নির্ধারিত হবে।
(খ) আর যদি সরাসরি দখলীকৃত ভূখন্ড হয়, তবে সেটা শাসকের ইচ্ছাধীন হয়ে যায়। হয় তিনি উপাসনালয়কে মসজিদে পরিণত করবেন, নতুবা মাছলাহাত বা কল্যাণ বিবেচনায় অমুসলিমদের জন্য ছেড়ে দিবেন (ইবনু তায়মিয়া, মাসাআলাতুন ফিল কানাইস, ১২২-১২৩; ইবনুল কাইয়িম, আহকামু আহলিয যিম্মাহ ৩/১১৯০-৯২)।
যেহেতু ওছমানীয় সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ যুদ্ধের মাধ্যমেই ইস্তাম্বুল জয় করেছিলেন। অতএব তাঁর জন্য আয়া সোফিয়া গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করায় কোন বাধা ছিল না। তদুপরি তিনি গির্জাটি সরাসরি মসজিদে পরিণত না করে অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের নিকট থেকে সেটি ক্রয় করে নিয়েছিলেন। এমনকি সেখানে রাষ্ট্রের বায়তুল মাল থেকেও কোন অর্থ নেননি; বরং নিজ সম্পদ থেকে ক্রয় করে মসজিদটিকে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। যার দলীলপত্র তুর্কী রাষ্ট্রীয় মহাফেযখানায় অদ্যাবধি
সংরক্ষিত রয়েছে (দ্র. আল-জাযীরা নিউজ, কাতার, ১০.০৭.২০)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।