হারাম ও কবিরা গুনাহ

ধূমপানের ব্যাপারে কিছু বানোয়াট হাদীস

প্রশ্ন : এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল ফাতাওয়ার স্থায়ী কমিটিকে: জানি না এ হাদীসটি সহীহ কি না। নবী (ﷺ) বলেছেন: হে আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু শেষ যামানায় এমন এক জাতি আসবে যারা ধূমপানে অভ্যস্ত হবে। তারা বলবে: আমরা উম্মতে মোহাম্মদী অথচ তারা আমার উম্মত নয় এবং আমি তাদেরকে উম্মত বলব না বরং তারা অধিকাংশ সাধারণ লোক। আবু হুরাইরা বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেছি এটা কিভাবে উৎপন্ন হবে? তিনি বললেন: এটা ইবলিসের (শয়তানের) প্রশ্রাব থেকে উৎপন্ন হয়। তাহলে যারা শয়তানের প্রশ্রাব পান করে তাদেরকে এবং এর উৎপন্নকারী, সাপ্লাইদাতা এবং বিক্রেতাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে এমতাবস্থায় তাদের অন্তরে কি ঈমান স্থির থাকবে? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তাদেরকে আল্লাহ জাহান্নামে দিবেন এবং এটি একটি অপবিত্র বৃক্ষ।

উত্তর:আলহামদুলিল্লাহ্‌।

 হাদীসের গ্রন্থগুলোতে এ হাদীসের কোনো ভিত্তি নেই, বরং তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর মিথ্যারোপ করা হয়েছে। বরং তাঁর থেকে যা সাব্যস্ত আছে তা হলো: মদ এবং তা পানকারী, যে পান করাবে, ব্যবস্থাপক, যার জন্য ব্যবস্থা করা হবে, তা বহনকারী, যার জন্য বহন করা হবে, বিক্রেতা, ক্রেতা এবং এর মূল্য ভক্ষকের উপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অভিশম্পাত করেছেন। আর তামাক তথা বিড়ি-সিগারেট হলো হারাম। তা পান করা আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্যতা, আর তা পানের মাধ্যমে এ অপরাধের দ্বারা সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না। আর আল্লাহর নিকট তাওফীক কামনা করছি। আল্লাহ স্বলাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সঙ্গী-সাথীদের উপর। (স্থায়ী কমিটির ফাতাওয়া ২২/ ১৯৮)

আল্লাহ্‌ সবচেয়ে ভালো জানেন।

সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
Back to top button