হারাম ও কবিরা গুনাহ

সিগারেট ও হুক্কার হুকুম কি? তা হারাম না মাকরুহ?

প্রশ্ন :  এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল ফাতাওয়ার স্থায়ী কমিটিকে: সিগারেট ও হুক্কার হুকুম কি? তা হারাম না মাকরুহ? যদি হারাম হয় তবে কুরআন ও হাদীস থেকে এর দলীল কি? অতঃপর হজ্জ এবং উমরায় মুহরিম অবস্থায় সিগারেট ও হুক্কা পান করার হুকুম কি?

উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।

সিগারেট ও হুক্কা পান করা হারাম, কারণ এতে ক্ষতি রয়েছে। নবী (ﷺ) বলেছেন:

«لا ضرر ولا ضرار»

নিজের কোনো অনিষ্টতা বা ক্ষতি এবং অন্য কারো ক্ষতি করা যাবে না) এবং তা অপবিত্র।

আল্লাহ বলেন:                      

﴿ وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ ﴾ [الاعراف: ١٥٧]

“এবং তাদের জন্য পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন এবং অপবিত্র জিনিস তাদের উপর হারাম করেছেন।” [সূরা আরাফ:  ১৫৭।] এবং এতে টাকা ব্যয় করা অপব্যয়ের শামিল, অথচ আল্লাহ এ থেকে নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَلَا تُسۡرِفُوٓاْۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُسۡرِفِينَ﴾ [الانعام: ١٤١، الأعراف: 31]

“তোমরা অপব্যয় করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ অপব্যয়কারীকে পছন্দ করেন না।” [সূরা আন‘আম: ১৪১, আরাফ: ৩১]

শয়তান যখন মানুষকে নিয়ে খেলা করে তখন সে এগুলো পান করে থাকে ফলে সে অন্যায় করে, কাজেই তার উপর ওয়াজিব হলো তাওবা করা এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা, হয়তো আল্লাহ তার তাওবা কবুল করে ক্ষমা করতে পারেন। হজ্জ বা উমরাহ অবস্থায় যদি কেউ তা পান করে তবে তার হজ্জ এবং উমরাহ বাতিল হবে না।

হে আল্লাহ! আমাদের নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ও তাঁর পরিবার পরিজন এবং সাহাবীগণের উপর স্বলাত ও সালাম পেশ করুন।[স্থায়ী কমিটির ফাতাওয়া – ২২/২০৪-২০৫]

সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button