তামাক এবং হুক্কার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি? এগুলো পান করা বা গ্রহণ করার বিধান কি?
প্রশ্ন : এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল আল্লামা ডক্টর আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল জিবরীনকে যে, তামাক এবং হুক্কার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি? এগুলো পান করা বা গ্রহণ করার বিধান কি? কারো প্রতিবেশী এতে আশক্ত হলে তার সাথে সে কি ভাবে লেনদেন করবে?
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তামাক, হুক্কা এবং শাম্মাহ (তামাক জাতীয় জিনিস নাক দিয়ে যার ঘ্রাণ নেয়া হয়) ইত্যাদি সবই হারাম, কেননা এসব কিছুই অপবিত্র।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“এবং তাদের জন্য পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন এবং অপবিত্র জিনিস তাদের উপর হারাম করেছেন।” [সূরা আরাফ: ১৫৭] তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ইহা এমন কিছু জটিল রোগ সৃষ্টি করে যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় বা এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে থাকে। অথচ আল্লাহ বলেছেন:
﴿ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيم ا ﴾ [النساء: ٢٩]
“তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না” [সূরা নিসা: ২৯]
তিনি আরও বলেন:
﴿ وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ ﴾ [البقرة: ١٩٥]
“তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।” [সূরা বাকারা: ১৯৫]
এবং এতে বিনা উপকারে মূল্যবান সম্পদ নষ্ট ও অপব্যয় করা হয়, আর অপব্যয়কারীগণ শয়তানের ভাই।[ইহা সূরা ইসরার ২৬ও ২৭ নং আয়াতের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে]
এতে যারা আক্রান্ত তাদেরকে বলব: কালবিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি এগুলো থেকে ফিরে এসে আল্লাহর নিকট তাওবা করুন এবং ভবিষ্যতে কখনো তা গ্রহণ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁর নিকট প্রার্থনা করুন এবং তা থেকে মুক্ত ও এর ব্যথা থেকে নিরাময় হওয়া পর্যন্ত কিছু দিন ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ আরোগ্য দানকারী।[ফাতাওয়া ইসলামিয়া: (৩/৪৪৬)]
সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।