হারাম ও কবিরা গুনাহ

যখন আমরা কোনো দোকানে গিয়ে বলি যে, সিগারেট বিক্রি নিষেধ বা তা বিক্রি করা হারাম, যেমন আপনি ফাতাওয়া দিয়েছেন, তখন তারা বলে: যদি তা হারাম হতো তবে অবশ্যই নিষেধ করা হতো! তাদেরকে আমরা কি বলবো?

প্রশ্ন: এ প্রশ্নটি আল্লামা ইবনে উসাইমীন রহমাতুল্লাহ আলাইহি কে করা হয়েছিল যে, যখন আমরা কোনো দোকানে গিয়ে বলি যে, সিগারেট বিক্রি নিষেধ বা তা বিক্রি করা হারাম, যেমন আপনি ফাতাওয়া দিয়েছেন, তখন তারা বলে: যদি তা হারাম হতো তবে অবশ্যই নিষেধ করা হতো! তাদেরকে আমরা কি বলবো?

উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।

 এর উত্তর অত্যন্ত সহজ, তাদেরকে বলব: শরীয়তের মূল কি? মানুষের আমল? নাকি কুরআন ও হাদীস? অবশ্যই শরীয়তের উৎস হচ্ছে কুরআন ও হাদীস। যদি কুরআন ও হাদীস কোনো জিনিস হারামের উপর প্রমাণ করে তবে মানুষের কোনো আমল গ্রহণযোগ্য হবে না এবং মানুষের কোনো আমল দলীল হতে পারে না। কিয়ামতের দিন কোনো মানুষ এ রকম কথা বলে আল্লাহর দলীলকে কোনোভাবেই প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না, কারণ তিনি বলেছেন:

﴿ وَيَوۡمَ يُنَادِيهِمۡ فَيَقُولُ مَاذَآ أَجَبۡتُمُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ٦٥ ﴾ [القصص: ٦٥]

 “যেদিন তাদেরকে ডেকে বলবেন: রাসূলদেরকে কি জবাব দিয়েছিলে?” [সূরা কাসাস: ৬৫] এখানে বলা হয় নি যে, সমাজে কিসের ব্যাপারে তোমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলে?

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ فَعَمِيَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَنۢبَآءُ يَوۡمَئِذ  فَهُمۡ لَا يَتَسَآءَلُونَ ٦٦ ﴾ [القصص: ٦٦]

“সেদিন তাদের উপর সকল খবর বন্ধ হয়ে যাবে, অতঃপর তারা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারবে না” [সূরা কাসাস: ৬৬], তাদের উপর তাদের যাবতীয় খবরাখবর বন্ধ হয়ে যাবে কেউ কোনো কথার উত্তর দিতে পারবে না এবং অন্যকেও জিজ্ঞাসা করতে পারবে না। আর যদি মানুষের আমল দলীল হতো তাহলে কাফেরদের কথা-

﴿إِنَّا وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّة ﴾ [الزخرف: ٢٢]

‘আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে একটি অবস্থায় পেয়েছি’ দলীল হতো এবং তারা এ কথার দ্বারা ওযর পেশ করতে পারতো। কাজেই আপনি ধূমপায়ীকে এ প্রমাণ দিয়ে যান, যদি সে হেদায়েত পায় তাহলে সে নিজের জন্যই পাবে, আর যদি পথভ্রষ্ট হয় তাহলে সে নিজেই পথভ্রষ্ট হবে।

আল্লাহ তা‘আলা তার রাসূলকে বলেছেন:

﴿ فَذَكِّرۡ إِنَّمَآ أَنتَ مُذَكِّر  ٢١ لَّسۡتَ عَلَيۡهِم بِمُصَيۡطِرٍ ٢٢ إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ ٢٣ فَيُعَذِّبُهُ ٱللَّهُ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَكۡبَرَ ٢٤ ﴾ [الغاشية: ٢١،  ٢٤]

“অতএব আপনি উপদেশ দিন; আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, আপনি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগকারী নন। তবে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে ও কুফরী করলে, আল্লাহ্ তাদেরকে দেবেন মহাশাস্তি।” [সূরা গাশিয়াহ: ২১-২৪] [উন্মুক্ত সাক্ষা কার। (৬৯/২০৬-২০৭)]

সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button