প্রশ্ন : হজ্জকারী ব্যক্তির নামের শুরুতে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী’ লেখা হয় কেন? এগুলো লেখা যাবে কি?
ফিরে আসতেন এবং সকল অন্যায় কাজ-কর্ম হ’তে দূরে থেকে নিজেকে দ্বীনী কাজে
লিপ্ত রাখতেন, তাদেরকে নাম ধরে না ডেকে বিশেষ শ্রদ্ধার সাথে ‘আলহাজ্জ’ বা
‘হাজী ছাহেব’ বলে সম্বোধন করা হ’ত। বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষকে
এভাবে সম্মান করে ডাকা আদৌ অন্যায় নয়।
বরং উত্তম লকবে ডাকা ইসলামী শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হযরত আবুবকর-কে ছিদ্দীক্ব, আয়েশা-কে হোমায়রা, আলী-কে আবু তুরাব, আব্দুর রহমান-কে আবু
হুরায়রা, হুযায়ফা-কে নওমান, আব্দুল্লাহ-কে যুল-বিজাদায়েন, খিরবাক্ব-কে যুল-ইয়াদায়েন (দ্রঃ দরসে কুরআন ‘দ্বন্দ্ব নিরসন’ ২০/৯ জুন’১৭), খালেদ বিন অলীদকে ‘সায়ফুল্লাহ’ (আল্লাহর তরবারী) এবং জাফর বিন আবু তালিবকে ‘আত-ত্বইয়ার’ লকবে ডেকেছেন (দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘মুতার যুদ্ধ’ অধ্যায়)।
এমনকি ইবনু হাজার বলেন, বলা হয়ে থাকে যে, রাসূল (ছাঃ) ওমর (রাঃ)-কে প্রথম ‘ফারূক্ব’ লকব দিয়েছিলেন (ফাৎহুল বারী ‘ওমরের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ হা/৩৬৭৯-এর পূর্বের আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
তবে অহংকার প্রকাশার্থে নিজের নামের সাথে উক্তরূপ লকব যুক্ত করা নিষিদ্ধ।
কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ঐ ব্যক্তি কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষা দানা পরিমান অহংকার রয়েছে’ (মুসলিম হা/৯১; মিশকাত হা/৫১০৮)।
তাছাড়া সেটি রিয়া ও শ্রুতির অন্তর্ভুক্ত হবে, যা হারাম (বুখারী হা/৬৪৯৯; মুসলিম হা/২৯৮৬; মিশকাত হা/৫৩১৬)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।