হজ্জ ও উমরা

প্রশ্ন : ক্ষমতা থাকলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হজ্জ পালন করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?

উত্তর : মুসলমানের জীবনে হজ্জ একবারই ফরয। বাকীগুলো নফল। আক্বরা‘ বিন হাবেস বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কি প্রতি বছর না একবার? তিনি বললেন, একবার। তবে যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে, সেটি তার জন্য নফল হবে (আবুদাঊদ হা/১৭২১; ইবনু মাজাহ হা/২৮৮৬, সনদ ছহীহ)

প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টি হাদীছে নিম্নভাবে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমার বান্দা যাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দান করেছি এবং রিযিকে সচ্ছলতা প্রদান করেছি। অথচ তার উপর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হ’লেও আমার (কা‘বা গৃহের) প্রতি আগমন করল না, সে একজন কল্যাণ বঞ্চিত বান্দা’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৩৭০৩; ছহীহাহ হা/১৬৬২)

এর দ্বারা হজ্জ বা ওমরাহর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর হজ্জের বিশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়নি। বরং প্রতিটি হজ্জ ও ওমরাহ ফযীলত পূর্ণ। যদি তা আল্লাহর নিকট কবুল হয়। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনাদের সঙ্গে
জিহাদে অংশগ্রহণ করব না? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও উৎকৃষ্ট জিহাদ হ’ল হজ্জ, মকবূল হজ্জ। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) হ’তে এ কথা শোনার পর আমি আর কখনো হজ্জ ছাড়ি না’ (বুখারী হা/১৮৬১; আহমাদ হা/২৪৫৪১)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button