হজ্জ ও উমরা

প্রশ্নঃ হজ্জের সফরে বিভিন্ন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একাধিকবার ওমরাহ করার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি?

উত্তর : এরূপ করা জায়েয নয়। শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক ওমরাহ করার আগ্রহে ‘তানঈম’ বা জি‘ইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরী‘আতে এর কোনই প্রমাণ নেই’ (দলীলুল হাজ্জ ওয়াল মু‘তামির, অনু: আব্দুল মতীন সালাফী, ‘সংক্ষিপ্ত নির্দেশাবলী’ অনুচ্ছেদ, মাসআলা-২৪, পৃঃ ৬৫)

ছালেহ আল-উছায়মীন (রহঃ) বলেন, এটি জায়েয নয়। বরং বিদ‘আত। কেননা এর পক্ষে একমাত্র দলীল হ’ল বিদায় হজ্জের সময় আয়েশা (রাঃ)-এর ওমরাহ। অথচ ঋতু এসে যাওয়ায় প্রথমে হজ্জে ক্বিরান-এর ওমরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজ্জের পরে তিনি এটা করেছিলেন। তার সাথে ‘তানঈম’ গিয়েছিলেন তার ভাই আব্দুর রহমান। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আব্দুর রহমান পুনরায় ওমরাহ করেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথী অন্য কোন ছাহাবীও এটা করেননি’ (ঐ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, প্রশেণাত্তর সংখ্যা ১৫৯৩; ঐ, লিক্বা-উল বাবিল মাফতূহ, অনুচ্ছেদ ১২১, মাসআলা ২৮)

শায়খ আলবানী একে নাজায়েয বলেছেন এবং একে ‘ঋতুবতীর ওমরাহ’ বলেছেন (ছহীহাহ হা/১৯৮৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িমও একে নাজায়েয বলেছেন (যাদুল মা‘আদ ২/৮৯)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button