সালাত / নামায

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের ইমাম জুম‘আর খুৎবার শেষে মিম্বারে থাকা অবস্থায় ছালাতের আগে মুছল্লীদের নিয়ে দু’হাত তুলে সম্মিলিত দো‘আ করেন। এভাবে দো‘আ করা কি জায়েয?

উত্তর : খুৎবা চলাকালীন ইমাম ও মুক্তাদীদের হাত তুলে মুনাজাত করা বিদ‘আত।

রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে হাত উত্তোলন করে দো‘আ করেননি। কেবল বিশেষ
পরিস্থিতিতে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য হাত তুলে দো‘আ করেছিলেন। বর্তমানেও এরূপ পরিস্থিতি।আসলে দো‘আ করতে পারে। কিন্তু এটিকে দলীল হিসাবে নিয়ে নিয়মিত খুৎবায় হাত তুলে দো‘আ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর পরে কোন ছাহাবী এভাবে দো‘আ করেননি। অথচ রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নে ছাহাবীগণই অধিক অগ্রগামী ছিলেন (নববী, শারহু মুসলিম হা/৮৭৪-এর আলোচনা ৬/১৬২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩৩৯)

বরং কেউ খুৎবায় হাত উত্তোলন করে মুনাজাত করলে ছাহাবায়ে কেরাম বাধা দিয়েছেন বলে দলীল পাওয়া যায়। যেমন একদিন বিশর ইবনু মারওয়ান জুম‘আর খুৎবা প্রদানকালে দো’আ করার সময় উভয় হাত উপরে তুললেন। এতে ছাহাবী উমারা বললেন, আল্লাহ এই বেঁটে হাত দু’টিকে কুৎসিত করুন। আমি নিশ্চিতরূপে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে দেখেছি, তিনি নিজের হাত দিয়ে (ইশারা)-এর বেশী কিছু করতেন না (মুসলিম হা/৫৩; তিরমিযী হা/৫১৫; আবুদাউদ হা/১১০৪; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৯৩, সনদ ছহীহ)

তবে ইমাম যদি দো‘আ পাঠ করেন আর মুছল্লীরা নিম্নস্বরে আমীন বলে তবে তাতে
কোন দোষ নেই। কারণ এটা দো‘আ কবুলের সময় বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (ঊছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ১/৬৯৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button