কসম ও মান্নত

প্রশ্ন : জনৈক পিতা তার পুত্রকে বলেন, আল্লাহর কসম আমি তোকে ত্যাজ্য পুত্র করলাম। এক্ষণে এরূপ কসম করা শরী‘আতসম্মত কি? উক্ত কসমের কাফফারা দিতে হবে কি?

উত্তর : ইসলামে সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান নেই। এরূপ করলে পিতা-মাতা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কবীরা গোনাহগার হিসাবে গণ্য হবেন।

রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী হা/৫৯৮৪; মুসলিম হা/ ২৫৫৬; মিশকাত হা/৪৯২২)

পক্ষান্তরে সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে সেটি কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত হবে। যতক্ষণ না পিতা-মাতা তাকে পাপকর্মে বাধ্য করেন (লোকমান ৩১/১৫)

এক্ষণে পিতাকে কসম ভেঙ্গে সন্তান ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যদি নিজ পরিবারের ব্যাপারে (সদাচরণ করবে না
বলে) কসম করে এবং আল্লাহ কর্তৃক ফরযকৃত কাফফারা আদায় না করে স্বীয় কসমের
উপর অটল থাকে, তাহ’লে সে আল্লাহর নিকটে (কসম ভঙ্গের চাইতে) অধিক গুনাহগার
হবে (বুখারী হা/৬৬২৫, মুসলিম হা/১৬৫০, মিশকাত হা/৩৪১৪)

কারণ পরিবারের ব্যাপারে এরূপ কসম করা অন্যের ব্যাপারে কসমের তুলনায় অধিকতর পাপ।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয় (মুসলিম হা/১৬৫০, মিশকাত হা/৩৪১৩)

আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো অথবা
বস্ত্র দান করা অথবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন দিন ছিয়াম
পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button