প্রশ্ন : যেসব নারীরা স্বামীর অনুমতি ছাড়া অথবা তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একাকী বিদেশে চাকুরী করছে, তাদের স্বামীরা কি দাইয়ূছ হিসাবে গণ্য হবে? এছাড়া স্বামী উপার্জনক্ষম হওয়া সত্ত্বে্ও এরূপ স্ত্রীর উপার্জন তার জন্য হালাল হবে কি?
উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী ক্বারী বলেন, যার চুপ থাকার কারণে তার স্ত্রী-কন্যা, দাসী প্রভৃতি নিকটতম মহিলাদের মধ্যে ব্যভিচার, মদ্যপান ও ব্যভিচারমূলক কাজ-কর্ম স্থায়িত্ব ও ব্যাপকতা লাভ করে (মিরক্বাত, হা/৩৬৫৫)।
যাহাবী বলেন, ‘দাইয়ূছ’ সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর ফাহেশা কাজ সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসার কারণে উক্ত ব্যাপারে সে উদাসীন থাকে। অথবা তার উপর তার স্ত্রীর বৃহৎ ঋণ বা মোহরানার ভয়ে কিংবা ছোট ছেলেমেয়েদের কারণে সে স্ত্রীকে কিছুই বলে না এবং যার আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই’ (যাহাবী, কিতাবুল কাবায়ের ১/৫০ পৃঃ)।
প্রশ্ন অনুযায়ী স্বামী যেহেতু স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধ করেছেন এবং চুপ থাকেননি, সেহেতু তিনি ‘দাইয়ূছ’ হবেন না। বরং স্ত্রী গোনাহগার হবে। কেননা প্রথমতঃ সে স্বামীর অবাধ্যতা করেছে। দ্বিতীয়তঃ উপার্জনের জন্য একাকী বিদেশে গমন করেছে। তবে তার উপার্জন স্বামী ও সন্তানদের জন্য অবৈধ নয়। কারণ একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)।
এক্ষেত্রে স্বামীর জন্য স্ত্রীর উপার্জিত অর্থ গ্রহণ না করাই উত্তম হবে এবং তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। কোনভাবেই স্ত্রীকে ফিরানো না গেলে চূড়ান্ত অবস্থায় তাকে তালাক প্রদান করবে।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।