হাদিস ও হাদিসের জ্ঞানসমূহ

প্রশ্ন : জনৈক আলেম সূরা কাহফের ২৮ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, সম্মিলিত মুনাজাত বর্জনকারীরা আল্লাহর নাফরমান। বক্তব্যটি কতটুকু সত্য?

উত্তর : বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। পৃথিবীর কোন মুফাসসির উক্ত আয়াতের তাফসীরে এরূপ কথা বলেননি। আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি নিজেকে ধরে রাখো তাদের সাথে যারা সকালে
ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি কামনায় এবং তুমি তাদের থেকে তোমার দু’চোখ ফিরিয়ে নিয়ো না পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনায়। আর তুমি ঐ ব্যক্তির আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমরা আমাদের স্মরণ থেকে
গাফেল করে দিয়েছি এবং সে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে ও তার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে গেছে’ (কাহফ ১৮/২৮)

সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকার তাফসীরে ইবনু ওমর ও আমর ইবনু শু‘আইব বলেন, তারা ফজর ও আছরের ফরয ছালাত আদায় করে। এছাড়া কেউ কেউ সকাল-সন্ধ্যায় কুরআন শিক্ষা ও কুরআন তিলাওয়াতের কথা বলেছেন (তাফসীরে ইবনু আবী হাতেম হা/১২৭৭২-৭৪; ইবনু কাছীর)

ইবনু কাছীর সকাল-সন্ধ্যায় যিকির-আযকার, তাসবীহ্, তাহলীল পাঠ ও আল্লাহ নিকট চাওয়ার ব্যাখ্যা করেছেন (ইবনু কাছীর ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা)

যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি এমন একটি দলের সাথে বসব যারা ফজরের ছালাত থেকে শুরু করে সূর্য উঠা পর্যন্ত মহান আল্লাহর যিকরে মশগূল থাকে। এ কাজ আমার নিকট ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশের দাসী আযাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয়। আমি এমন একটি দলের সাথে বসব যারা আছরের ছালাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর যিকরে মশগূল থাকে। আমার নিকট এ কাজ চারটি দাসী আযাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়’ (আবুদাউদ হা/৩৬৬৭; মিশকাত হা/৯৭০; ছহীহাহ হা/২৯১৬)

অতএব এ আয়াত দ্বারা সম্মিলিত মুনাজাতের দলীল গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button