প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছোঁয়াচে কোন রোগ নেই। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, বসন্ত, চোখ ওঠা ইত্যাদি ছোঁয়াচে রোগ। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় কি?
চর্মরোগী বানালো কে? (বুখারী হা/৫৭৭০; মুসলিম হা/২২২০; মিশকাত হা/৪৫৭৭-৭৮ ‘চিকিৎসা ও মন্ত্র’ অধ্যায় ‘শুভ ও অশুভ লক্ষণ’ অনুচ্ছেদ-১)।
উক্ত হাদীছে ছোঁয়াচে রোগ নেই তা বলা হয়নি। বরং জাহেলী যুগে মানুষ বিশ্বাস করত যে কিছু ছোঁয়াচে রোগ আছে যেগুলি প্রকৃতিগতভাবেই অন্যকে সংক্রমিত করে। এ বিশ্বাস অপনোদনের জন্যই রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, ছোঁয়াচে রোগ থাকলেও তা আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত অন্যের দেহে সংক্রমিত হয় না।
যেমন একই হাদীছে তিনি বলেছেন, তবে কুষ্ঠরোগী হ’তে এমনভাবে পলায়ন কর, যেভাবে তোমরা বাঘ থেকে পলায়ন কর’ (বুখারী হা/৫৭০৭)।
তিনি আরো বলেছেন, তোমরা সুস্থ উটকে অসুস্থ উটের সাথে মিশ্রিত করবে না (বুখারী হা/৫৭৭৪)।
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করা শিরক। কিন্ত
আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার মনে অশুভ লক্ষণের ধারণার উদ্রেক হয় না। অথচ
আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে আল্লাহ তা দূরীভূত করে দেন’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৫৮৪)।
অতএব ছোঁয়াচে রোগ আছে। তবে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন রোগই ছড়ায় না। অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী ও বিজ্ঞানের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।