হাদিস ও হাদিসের জ্ঞানসমূহ

প্রশ্ন : ছহীহ বুখারীতে এসেছে ‘যদি হাওয়া খেয়ানত না করতেন, তবে যুগে যুগে কোন নারী তার স্বামীর সাথে খেয়ানত করত না’। হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।

উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এখানে নারীর ফিৎরাতের কথা বলেছেন, তার কর্মকে দায়ী করেন

নি। যেমন অন্য হাদীছে আদম তার আয়ুষ্কালকে অস্বীকার করেছিলেন বলে মানুষ
অস্বীকার করে বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/৩০৭৬, মিশকাত হা/১১৮)

এর অর্থ এটা নয় যে, বনু আদমের অস্বীকারের জন্য আদম (আঃ) দায়ী হবেন। কারণ একজনের পাপের বোঝা অন্যে বইবে না (আন‘আম ১৬৪ ও অন্যান্য)

আল্লাহ নিজেও হাওয়াকে এককভাবে এ বিষয়ে দায়ী করেননি। বরং কুরআনে শয়তান
‘আদম’কে এবং ‘আদম ও হাওয়া’ উভয়কে প্রতারিত করেছিল বলে বর্ণিত হয়েছে (ত্বোয়াহা ১২০, আ‘রাফ ২০)

অতএব আলোচ্য হাদীছ সহ অন্যান্য হাদীছে ‘হাওয়া আদমকে উৎসাহিত করেছিলেন’ মর্মে যা
কিছু বলা হয়েছে সবটারই উদ্দেশ্য হ’ল, নারীর স্বাভাবিক প্রবণতার দিকে
ইঙ্গিত করা। যাতে মুমিন নারী ও পুরুষ স্ব স্ব মন্দ প্রবণতাকে সংযত রাখে।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button