হাদিস ও হাদিসের জ্ঞানসমূহ

প্রশ্ন : ‘তোমরা ফজরের সময় ফর্সা কর। কেননা এটাই নেকীর জন্য উত্তম সময়’ (তিরমিযী; আবুদাঊদ; মিশকাত হা/৬১৪)। হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।

  উত্তর : উক্ত হাদীছের সারমর্ম হ’ল ফজরের ছালাত অন্ধকারে শুরু করতে হবে এবং দীর্ঘ কেরাআতের মাধ্যমে আকাশ ফর্সা হয়ে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : হাজারে আসওয়াদে মুখ রেখে ক্রন্দন করা সংক্রান্ত হাদীছটি কি ছহীহ?

  উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (ইরওয়াউল গালীল হা/১১১, ৪/৩০৮ পৃঃ)। ইমাম নাসাঈ বলেন, হাদীছটি পরিত্যক্ত। ইমাম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ)-এর এ বাণীটির ব্যাখ্যা কি?

  উত্তর : নারীদেরকে পুরুষের পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে (নিসা ৪/১; বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮)। রাসূল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : ‘শীতকাল মুমিনদের জন্য বসন্তকাল’ কথাটি কি সত্য?

উত্তর : কথাটি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা বা হাদীছ হিসাবে প্রচলন থাকলেও হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৬৫৫;…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : ‘সুবহানাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি’ বললে আল্লাহর পথে স্বর্ণ দান করার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ?

উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ত্বাবারাণী, আল- মু‘জামুল কাবীর, হা/৭৭৯৫; জাম‘উল জাওয়ামি‘, হা/২৩৬৮; কানযুল ‘উম্মাল, হা/১৮৫৪; লালকাঈ, শারহুল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : সূরা মুলকের ফযীলত সম্পর্কিত বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? কেননা তিরমিযী, আবু দাউদে হাসান এবং হাকিম ও দারীমীতে ছহীহ বলা আছে। হাসান হলে কি আমলযোগ্য?

উত্তর : সূরা মুলকের ফযীলত সম্পর্কিত নিম্নোক্ত হাদীছগুলো অবশ্যই ছহীহ। যেমন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কুরআনের ত্রিশ আয়াতের…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : একবার দরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?

উত্তর : এটা জাল বর্ণনা (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃ. ৯০)।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : এক ওয়াক্ত ছালাত ক্বাযা করলে এবং পরে পড়ে নিলেও ২ লক্ষ ৮৮ বছর জাহান্নামে থাকতে হবে (ফাযায়েলে নামায, পৃ. ১১৬)। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : কথাটি সত্য নয়, বরং বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : শুক্রবারে সূরা আলে ‘ইমরান তেলাওয়াত করার ব্যাপারে কোন ছহীহ হাদীছ আছে কি?

উত্তর : এ ব্যাপারে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে যা বর্ণিত হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল কিংবা জাল। যেমন,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: দুনিয়া হচ্ছে উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।

আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “দুনিয়া উপভোগ্য সম্পদ এবং দুনিয়ার উত্তম সম্পদ পুণ্যবতী নারী।”…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: মুমিনদের মধ্যে সবচেয়ে পূর্ণ মু’মিন ঐ ব্যক্তি যে চরিত্রে সবার চেয়ে সুন্দর, আর তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে তাদের স্ত্রীর জন্য সর্বোত্তম।

আবূ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “মুমিনদের মধ্যে সবার চেয়ে পূর্ণ মুমিন ঐ ব্যক্তি যে চরিত্রে সবার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : মাগরিবের আযানের সময় ঘরের দরজা খোলা রাখলে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত কথার কোন ভিত্তি নেই। বরং কুসংস্কার মাত্র। এছাড়া এ কথা সরাসরি ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কেননা শয়তান যাতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : জনৈক বক্তা বলেন, যে ব্যক্তি চারটি রাত জাগবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে- মিনা, আরাফা, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের রাত। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২২)।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : জনৈক বক্তা বলেন, পাঁচটি বিষয় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত- কুরআনের মুছহাফের দিকে দৃষ্টি দেয়া, কা‘বা, মাতা-পিতা, যমযম এবং আলেমের চেহারার দিকে দৃষ্টি দেয়া। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত মর্মে প্রচলিত বর্ণনাটি মুনকার বা অগ্রহণযোগ্য (তানযীহুশ শারঈ‘আহ, পৃঃ ৩৫০)। এ ধরনের হাদীছ প্রচার করা গোনাহের কাজ।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : জনৈক খত্বীব বলেন, মধ্য শা‘বানের রাত্রির দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলাহ যঈফাহ হা/১৪৫২)। সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : ‘সূরা ফাতেহা সকল রোগের ঔষধ’ কথাটি কি ঠিক?

উত্তর : সঠিক নয়। তবে উক্ত মর্মে একটি যঈফ বর্ণনা রয়েছে। যার সনদে মুহাম্মাদ ইবনু মানদাহ আছ-ছাফহানী নামে যঈফ রাবী…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : জনৈক ইমাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় করে দিবেন। আর তার জন্য জান্নাতে এক হাজার মনোরম বালাখানা তৈরি করা হবে (আশরাফ আলী থানবী, পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা, পৃঃ ৩০৯)। উক্ত মর্মে ছহীহ কোন বর্ণনা আছে কি?

উত্তর : উক্ত বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট। হাদীছগ্রন্থে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : পাঁচটি রাত জেগে ইবাদত করলে তার জন্য জান্নাত যরূরী হয়ে যাবে। (১) তারবিয়ার রাত বা যিলহজ্জের ৮ তারিখের রাত (২) ‘আরাফার রাত (৩) কুরবানীর রাত (৪) ঈদুল ফিতরের রাত ও (৫) ১৫ শা‘বানের রাত। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ?

উত্তর : হাদীছটি জাল (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬৬৭)।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তোমরা পাত্র ঢেকে দাও,পানির মশকের মুখ বেঁধে দাও, দরজাসমূহ বন্ধ ক’রে দাও, প্রদীপ নিভিয়ে দাও। কেননা, শয়তান মুখ বাঁধা মশক খুলে না, বন্ধ দরজাও খুলে না এবং পাত্রের ঢাকনাও উম্মুক্ত করে না।

জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(রাত্রে ঘুমাবার আগে) তোমরা পাত্র ঢেকে দাও, পানির…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং এক নারীও আরেক নারীর সতরের দিকে তাকাবে না। কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এক কাপড়ে শোবে না এবং কোনো নারীও অন্য নারীর সাথে এক কাপড়ে শোবে না।

আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বললেন, “তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।”

জারীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (অপরিচিত নারীর প্রতি) হটাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: দুই প্রকার জাহান্নামী আমি (এখন পর্যন্ত) প্রত্যক্ষ করি নি (অর্থাৎ আমার পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে): (১) এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে। (২) এমন এক শ্রেণির মহিলা, যারা (এমন নগ্ন) পোশাক পরবে যে, (বাস্তবে) উলঙ্গ থাকবে, (পর পুরুষকে) নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও (পর পুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মতো। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি (এখন পর্যন্ত)…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কী অভিমত, যে নেক আমল করে এবং লোকেরা তার প্রশংসা করে? তিনি বললেন, “এতো মুমিন ব্যক্তির জন্য অগ্রিম সুসংবাদ।”

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কী…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ তার নি‘আমত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তার সবটাই চিনতে পারবে (যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে)। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, এর বিনিময়ে কী আমল করেছিলে? সে বলবে, আমি আপনারই পথে যুদ্ধ করেছি; এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ আদম সন্তানের যিনার যে অংশ নির্ধারিত করেছেন, তা সে অবশ্যই করবে। আর দু’চোখের যিনা হলো দৃষ্টিপাত করা, কানের যিনা শ্রবণ করা, জিহ্বার যিনা কথোপকথন, হাতের যিনা স্পর্শ করা, পায়ের যিনা হেঁটে যাওয়া, অন্তরের যিনা আকাংখা ও কামনা করা। আর লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে কিংবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, “আল্লাহ আদম সন্তানের যিনার যে অংশ নির্ধারিত করেছেন, তা সে অবশ্যই করবে।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: রাস্তা-ঘাটে মজলিস করা তোমাদের অভ্যাস কেন? রাস্তাঘাটে বৈঠক করা তোমরা বর্জন করবে।

আবূ তালহা যায়েদ ইবন সাহল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (বাড়ির সামনের খোলা) আঙিনায় বসে কথাবার্তা বলছিলাম। তখন…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে নিজের গোলামকে মারধর করে অথবা তাকে চপেটাঘাত করে, তাকে মুক্ত করে দেয়াই হচ্ছে তার কাফফারা।

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছাড়াই নিজের গোলামকে মারধর করে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে রোদে দাঁড় করিয়ে তাদের মাথার উপর তেল ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘ব্যাপার কী?’ বলা হল, ‘ওদেরকে জমির কর (আদায় না দেওয়ার) জন্য সাজা দেওয়া হচ্ছে।’ অন্য বর্ণনায় আছে যে, ‘রাজস্ব (আদায় না করার) কারণে ওদেরকে বন্দী করা হয়েছে।’ হিশাম বললেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহ তা‘আলা সে সব লোকেদেরকে কষ্ট দেবেন, যারা লোকেদেরকে দুনিয়ায় কষ্ট দেয়।” অতঃপর হিশাম আমীরের নিকট গিয়ে এ হাদীসটি শুনালেন। তিনি তাদের সম্পর্কে নির্দেশ জারি করলেন এবং তাদেরকে মুক্ত ক’রে দিলেন। হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ‘আন্বাত’ হচ্ছে অনারবী কৃষক।

হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি তার কোনো (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে বছরব্যাপী বাক্যালাপ বন্ধ করবে, তা হবে তার রক্তপাত ঘটানোর মতো।

  আবূ খিরাশ হাদরাদ ইবন আবূ হাদরাদ আসলামী থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি তার কোনো (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে বছরব্যাপী…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: নিশ্চয় শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে যে, আরব উপদ্বীপে সালাত আদায়কারীরা তার ইবাদত করবে, তবে তাদের মধ্যে উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাশ হয় নি।

জাবির রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে যে, আরব উপদ্বীপে সালাত আদায়কারীরা তার ইবাদত করবে,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ‘‘কোন মুসলিমের জন্য এ কাজ বৈধ নয় যে, তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের ঊর্ধ্বে কথাবার্তা বন্ধ রাখবে। সুতরাং যে ব্যক্তি তিন দিনের ঊর্ধ্বে কথাবার্তা বন্ধ রাখবে এবং সেই অবস্থায় মারা যাবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন মুসলিমের জন্য এ কাজ বৈধ নয়…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি (প্রতিশোধ গ্রহণে) সীমা অতিক্রম করে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কু-বাক্য উচ্চারণ করে,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে কোনো মুসলিমের তিনটি নাবালক সন্তান মারা যাবে, তাকে আল্লাহ তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহের বরকতে জান্নাত দিবেন।

  আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোনো মুসলিমের তিনটি নাবালক সন্তান মারা যাবে, তাকে আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি (গর্বভরে) বলে, লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেল, সেই তাদের মধ্যে সর্বাধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি (গর্বভরে) বলে, লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেল, সেই…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত দিন রাখার তিনি রাখলেন। ইত্যবসের ইবলিস তাকে ঘুরে দেখতে লাগল এটি কী? যখন তার পেট দেখল, তখন সে বুঝতে পারল তাকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যদি তুমি মুসলিমদের গুপ্ত দোষগুলো খুঁজে বেড়াও, তাহলে তুমি তাদেরকে নষ্ট করে দিবে অথবা তাদেরকে নষ্ট করার উপক্রম করবে।

মু‘আওয়িয়াহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যদি তুমি মুসলিমদের গুপ্ত…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলল এবং আল্লাহ ব্যতীত যার ইবাদত করা হয়, তার সাথে কুফরী করল তার জান ও মাল নিরাপদ এবং তার হিসাব আল্লাহর জিম্মায়।

1: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া যে সব মূর্তি ও কবরসমূহের পুজা করা হয়, তা অস্বীকার করা। 2:…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রথম স্তরের মুহাজিরদের জন্য বাৎসরিক চার হাজার দিরহাম ধার্য করলেন।

নাফে‘ রহ. থেকে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রথম স্তরের মুহাজিরদের জন্য বাৎসরিক চার হাজার দিরহাম ধার্য করলেন এবং…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যার বিপরীত বলি তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর। (সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি উত্তর দিলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা ‘মুনাফিককী’ আচরণ বলে গণ্য করতাম।”

মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ‘হে আমীরুল মু’মেনীন! আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে বলেন, “তুমি ক্ষমাশীলতার পথ অবলম্বন কর। ভাল কাজের আদেশ প্রদান কর এবং মূর্খদিগকে পরিহার করে চল।” (সূরা আল আ’রাফ, আয়াত: ১৯৮) আর এ একজন মূর্খ।’ আল্লাহর কসম! যখন তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন, তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একটুকুও আগে বাড়লেন না। আর তিনি আল্লাহর কিতাবের কাছে (অর্থাৎ, তাঁর নির্দেশ শুনে) সাথে সাথে থেমে যেতেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন যে, উয়াইনাহ ইবনে হিসন এলেন এবং তাঁর ভাতিজা হুর ইবনে কাইসের কাছে অবস্থান…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: “আর যে কেউ রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট আনুগত্যের বাই‘আত করলো এবং তার হাতে হাত রাখলো ও নিজের অন্তরের একনিষ্ঠতা তাকে দিয়ে দিল, তার উচিত হবে যথাসম্ভব রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করা। অতঃপর অন্য কোনো ব্যক্তি যদি তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে আসে, তবে তোমরা দ্বিতীয় সে ব্যক্তির গর্দান উড়িয়ে দিবে।”

আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কোনো এক সফরে ছিলাম। অতঃপর (বিশ্রামের জন্য) কোনো…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: নিশ্চয় আল্লাহ মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী, সংকোচনকারী, সম্প্রসারণকারী এবং রিযিক দানকারী। আমি আমার রবের সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করতে চাই যে, কেউ যেন আমার বিরুদ্ধে রক্তের ও সম্পদের কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপন করতে না পারে।

আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: পুলসিরাত জাহান্নামের দু’ তীরের মাঝে স্থাপন করা হবে। তাতে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাঁটা সদৃশ কাঁটাসমূহ। লোকজন তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। কতক মুসলিম নিরাপদে তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে, কতক কাঁটার আঁচড় খেয়ে, কতক কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে থাকার পর নাজাত পাবে এবং কতক মুখ থুবড়ে জাহান্নামের তলদেশে নিক্ষিপ্ত হবে।

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, পুলসিরাত জাহান্নামের দু’ তীরের মাঝে স্থাপন করা হবে। তাতে থাকবে সাদান…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: নিশ্চয় আত্মীয়তার সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা রহমানের কোমরকে আঁকড়ে ধরে থাকে। যে ব্যক্তি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন আর যে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় আত্মীয়তার সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা রহমানের কোমরকে আঁকড়ে ধরে থাকে।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তোমার সাথে যে সু-সম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সু-সম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব?

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ সকল কিছুকে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর যখন…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: “(শামের) সাইহান ও জাইহান, (ইরাকের) ফুরাত এবং (মিসরের) নীল প্রত্যেকটি নদীই জান্নাতের নদী।

উক্ত বর্ণনাকারী থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(শামের) সাইহান ও জাইহান, (ইরাকের) ফুরাত এবং…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আমার মহান রব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি আমার উম্মতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাব ও বিনা আযাবে জান্নাতে দাখিল করবেন এবং প্রতি হাজারের সাথে থাকবে আরও সত্তর হাজার করে এবং আরো থাকবে আমার মহান রবের তিন মুঠো পরিমাণ।

আবূ উমামা আল-বাহিলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন) “আমার মহান রব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ফিরিশতাদেরকে আলো থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন্ন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা থেকে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ফিরিশতাদেরকে আলো থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি তাবীজ ঝুলালো আল্লাহ তার কর্মসমূহ পূর্ণ করবেন না। আর যে ব্যক্তি কোনো ঝিনুক ঝুলালো আল্লাহ তার জন্য তার আশা সহজ করবেন না।

উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, যে ব্যক্তি তাবীজ ঝুলালো আল্লাহ তার কর্মসমূহ পূর্ণ করবেন না। আর…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: হে রুওয়াফা, হতে পারে তোমার হায়াত দীর্ঘ হবে। তুমি মানুষকে জানিয়ে দাও যে, যে তার দাঁড়িতে গিরা লাগায় অথবা গলায় পুঁথি জুলায় অথবা গোবর অথবা হাঁড় দ্বারায় পবিত্রতা অর্জন করে অবশ্যই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুক্ত।

রুয়াইফা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে রুওয়াফা, হতে পারে তোমার হায়াত দীর্ঘ হবে। তুমি…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলালো তাকে তার দিকে সপর্দ করা হবে।

আব্দুল্লাহ ইবন উকাইম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলালো তাকে তার দিকে সপর্দ করা হবে।”…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কোনো এক সফরে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি একজন বার্তাবাহককে পাঠালেন যে, কোনো উটের গলায় যেন দড়ির হার ঝুলানো না থাকে। যদি থাকে তা যেন কেটে ফেলা হয়।

আবূ বাশীর আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “কোনো এক সফরে তিনি রাসূলুল্লাহর সাথে ছিলেন। তিনি একজন বার্তাবাহককে পাঠালেন যে, কোনো…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রে হয়!

আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো;…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ঈমানের সত্তর ও আরও কিছু অথবা ষাট ও আরও কিছু শাখা রয়েছে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ঈমানের সত্তর ও আরও কিছু অথবা ষাট ও আরও…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: স্বর্ণ ও রৌপ্যের যে মালিক তার স্বর্ণের হক আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার স্বর্ণ-রৌপ্যগুলোকে আগুন দিয়ে গলিয়ে চ্যাপটা করা হবে। অতঃপর জাহান্নামের আগুনে গরম করে তার পার্শ্বদেশে, পিঠে এবং কপালে তা দিয়ে ছেঁকা দেয়া হবে।

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সোনা ও চাঁদির অধিকারী ব্যক্তি যে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসেছিলাম। দলের ভেতর আমাদের সাথে অন্যান্য সাহাবীসহ আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ছিলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝ থেকে উঠে (বাইরে) চলে গেলেন ও আমাদের কাছে ফিরে আসতে দেরী করলেন। আমাদের আশংকা হল যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে তিনি (শত্রু) কবলিত না হন। এ দুশ্চিন্তায় আমরা ঘাবড়ে গেলাম এবং উঠে পড়লাম। তাদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত আমি আনসারদের বনূ নাজ্জারের একটি বাগানে পৌঁছে তার চতুর্দিকে ঘুরতে লাগলাম, যদি কোনো (প্রবেশ) দরজা পাই। কিন্তু তার কোনো (প্রবেশ) দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখলাম বাইরের একটি কুয়া থেকে সরু নালা ঐ বাগানের ভিতরে চলে গেছে। আমি সেখান দিয়ে জড়সড় হয়ে বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। (দেখলাম,) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত। তিনি বলে উঠলেন, “আবূ হুরায়রা?” আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, “কী ব্যাপার তোমার?” আমি বললাম, ‘আপনি আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অকস্মাৎ উঠে বাইরে এলেন। তারপর আপনার ফিরতে দেরি দেখে আমরা এই দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে হয়তো আপনি (শত্রু) কবলিত হয়ে পড়বেন। যার ফলে আমরা সকলে ঘাবড়ে উঠলাম। সর্বপ্রথম আমিই বিচলিত হয়ে উঠে এই বাগানে এসে জড়সড় হয়ে শিয়ালের মত ঢুকে পড়লাম। আর সব লোক আমার পিছনে আসছে।’ তিনি আমাকে সম্বোধন করে তাঁর জুতা জোড়া দিয়ে বললেন, “আবূ হুরায়রা! আমার এ জুতো জোড়া সঙ্গে নিয়ে যাও এবং এ বাগানের বাইরে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পাঠকারী যে কোনো ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।” অতঃপর সুদীর্ঘ হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসেছিলাম। দলের ভেতর আমাদের সাথে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে একজন ইয়াহূদী অথবা খ্রিষ্টানকে দিয়ে বলবেন, এই তোমার জাহান্নাম থেকে বাঁচার মুক্তিপণ।

আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে একজন ইয়াহূদী অথবা খ্রিষ্টানকে দিয়ে বলবেন,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ সুতরাং জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন, কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তার জন্যে গ্রহণযোগ্যতা রাখা হয়।” মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি অমুককে ভালোবাসি, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ তখন জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন। কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘আমি অমুককে ঘৃণা করি, অতএব তুমিও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন জিবরীল তাকে ঘৃণা করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেন। কাজেই তোমরাও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন আকাশবাসীরাও তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে ঘৃণ্য করা হয়।

আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ সুতরাং জিবরীলও…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই, আর সে যখন আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই বাহু পরিমাণ এগিয়ে যাই, আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে যাই দৌঁড়ে।

আনাস বিন মালিক ও আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার রব থেকে বর্ণনা করেন,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তোমরা কি জান কে নি:স্ব-অসহায়?

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?’’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: “তাঁর শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, জান্নাতবাসীদের অর্ধেক তোমরাই হবে। এটা এ জন্য যে, শুধুমাত্র মুসলিম প্রাণ ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমরা এরূপ, যেরূপ কালো বলদের গায়ে (একটি) সাদা লোম অথবা লাল বলদের গায়ে (একটি) কালো লোম।”

ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ জন মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে একটি তাঁবুতে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: এটা খুলে ফেলো, কারণ তা তোমার অবসন্নতাই বৃদ্ধি করবে। যদি তুমি মারা যাও আর এটি তোমার কাছে রয়েছে, তবে তুমি কখনো সফল হবে না।

ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে পিতলের বালা দেখে জিজ্ঞেস…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ১৮০৮- নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি স্বর নিম্ন ও উচ্চ করলেন যে, আমরা তাকে সামনের কয়েকটি খেজুর গাছের মধ্যেই ভাবলাম। আমরা যখন তাঁর নিকট গেলাম, তিনি আমাদের মধ্যে তার (উদ্বিগ্নতার) আলামত দেখতে পেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে স্বর নিম্ন ও উচ্চ করলেন, যার ফলে আমরা ধারণা করে বসি যে, সে যেন খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে।’ তিনি বললেন, ‘দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের ব্যাপারে অন্য জিনিসকে আমার আরও বেশী ভয় হয়। আমি তোমাদের মাঝে থাকাকালে দাজ্জাল যদি বের হয়, তাহলে আমি স্বয়ং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকে প্রতিরোধ করব। আর যদি সে বের হয় এবং আমি তোমাদের মাঝে না থাকি, তাহলে [তোমরা] প্রত্যেক ব্যক্তি নিজকে রক্ষা করবে। আর আল্লাহ স্বয়ং প্রতিটি মুসলমানের জন্য [আমার] প্রতিনিধিত্ব করবেন। দাজ্জাল হবে যুবক, তার মাথার কেশরাশি হবে খুব বেশি কোঁচকানো। তার একটি চোখ [আঙ্গুরের ন্যায়] ফোলা থাকবে। যেন সে আব্দুল উয্যা ইবনে ক্বাত্বানের মত দেখতে হবে। সুতরাং তোমাদের যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন তার সামনে সূরা কাহ্ফের শুরুর [দশ পর্যন্ত] আয়াতগুলি পড়ে। সে শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে আবির্ভূত হবে। আর তার ডাইনে-বামে [এদিকে ওদিকে] ফিতনা ছড়াবে। হে আল্লাহর বান্দারা। [ঐ সময়] তোমরা অবিচল থাকবে।’ আমরা বললাম, ‘পৃথিবীতে তার অবস্থান কতদিন থাকবে?’ তিনি বললেন, ‘চল্লিশ দিন। একটি দিন এক বছরের সমান দীর্ঘ হবে। একটি দিন হবে এক মাসের সমান লম্বা। একটা দিন এক সপ্তাহের সমান হবে এবং বাকি দিনগুলি প্রায় তোমাদের দিনগুলির সম পরিমাণ হবে।’ আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! যেদিনটি এক বছরের সমান লম্বা হবে, তাতে আমাদের একদিনের [পাঁচ ওয়াক্তের] নামাযই কি যথেষ্ট হবে?’ তিনি বললেন, ‘‘তোমরা [দিন রাতের ২৪ ঘণ্টা হিসাবে] অনুমান করে নামায আদায় করতে থাকবে।’ আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ভূপৃষ্ঠে তার দ্রুত গতির অবস্থা কিরূপ হবে? তিনি বললেন, তীব্র বায়ু তাড়িত মেঘের ন্যায় [দ্রুত বেগে ভ্রমণ করে অশান্তি ও বিপর্যয় ছড়াবে।] সুতরাং সে কিছু লোকের নিকট আসবে ও তাদেরকে তার দিকে আহ্বান জানাবে এবং তারা তার প্রতি ঈমান আনবে ও তার আদেশ পালন করবে। সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণ করতে আদেশ করবে, আকাশ আদেশক্রমে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। আর জমিনকে [গাছ-পালা] উদ্গত করার নির্দেশ দেবে। জমিন তার নির্দেশক্রমে তাই উদ্গত করবে। সুতরাং [সে সব গাছ-পালা ভক্ষণ করে] সন্ধ্যায় তাদের গবাদি পশুদের কুঁজ [ও ঝুঁটি] অধিক উঁচু হবে ও তাদের পালানে অধিক পরিমাণে দুধ ভরে থাকবে। উদর পূর্ণ আহার জনিত তাদের পেট টান হয়ে থাকবে। অতঃপর দাজ্জাল [অন্য] লোকের নিকট যাবে ও তার দিকে [আসার জন্য] তাদেরকে আহ্বান জানাবে। তারা কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেবে না। ফলে সে তাদের নিকট থেকে ফিরে যাবে। সে সময় তারা চরম দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে পড়বে ও সর্বস্বান্ত হবে। তারপর সে কোন প্রাচীন ধ্বংসস্তূপের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় সেটাকে সম্বোধন করে বলবে, ‘তুই তোর গচ্ছিত রত্নভাণ্ডার বের করে দে।’ তখন সেখানকার গুপ্ত রত্নভাণ্ডার মৌমাছিদের নিজ রাণী মৌমাছির অনুসরণ করার মতো [মাটি থেকে বেরিয়ে] তার পিছন ধরবে। তারপর এক পূর্ণ যুবককে ডেকে তাকে অস্ত্রাঘাতে দ্বিখণ্ডিত করে তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যমাত্রার দূরত্বে নিক্ষেপ করে দেবে। তারপর তাকে ডাক দেবে। আর সে উজ্জ্বল সহাস্য-বদনে তার দিকে [অক্ষত শরীরে] এগিয়ে আসবে। দাজ্জাল এরূপ কর্ম-কাণ্ডে মগ্ন থাকবে। ইত্যবসরে মহান আল্লাহ তা’আলা মসীহ বিন মারয়্যাম আলাইহিস সালাম-কে পৃথিবীতে পাঠাবেন। তিনি দামেস্কের পূর্বে অবস্থিত শেবত মিনারের নিকট অর্স ও জাফরান মিশ্রিত রঙের দুই বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় দু’জন ফিরিশ্তার ডানাতে হাত রেখে অবতরণ করবেন। তিনি যখন মাথা নিচু করবেন, তখন মাথা থেকে বিন্দু বিন্দু পানি ঝরবে এবং যখন মাথা উঁচু করবেন, তখনও মতির আকারে তা গড়িয়ে পড়বে। যে কাফেরই তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের নাগালে আসবে, সে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারাবে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টি যত দূর যাবে, তত দূর পৌঁছবে। অতঃপর তিনি দাজ্জালের সন্ধান চালাবেন। শেষ পর্যন্ত [জেরুজালেমের] ‘লুদ’ প্রবেশ দ্বারে তাকে ধরে ফেলবেন এবং অনতিবিলম্বে তাকে হত্যা করে দেবেন। তারপর ঈসা আলাইহিস সালাম এমন এক জনগোষ্ঠীর নিকট আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা দাজ্জালের চক্রান্ত ও ফিতনা থেকে মুক্ত রেখেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বোলাবেন [বিপদমুক্ত করবেন] এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদাসমূহ সম্পর্কে তাদেরকে জানাবেন। এসব কাজে তিনি ব্যস্ত থাকবেন এমন সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট অহি পাঠাবেন যে, ‘‘আমি আমার কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে কারো লড়ার ক্ষমতা নেই। সুতরাং তুমি আমার প্রিয় বান্দাদের নিয়ে ‘ত্বূর’ পর্বতে আশ্রয় নাও।’ আল্লাহ তা’আলা য়্যা’জুজ-মা’জুজ জাতিকে পাঠাবেন। তারা প্রত্যেক উচ্চস্থান থেকে দ্রুত বেগে ছুটে যাবে। তাদের প্রথম দলটি ত্বাবারী হ্রদ পার হবার সময় তার সম্পূর্ণ পানি এমনভাবে পান করে ফেলবে যে, তাদের সর্বশেষ দলটি সেখান দিয়ে পার হবার সময় বলবে, এখানে এক সময় পানি ছিল। আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাছে একটি গরুর মাথা, বর্তমানে তোমাদের একশ’টি স্বর্ণমুদ্রা অপেক্ষা অধিক উত্তম হবে। সুতরাং আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের [য়্যা’জূজ-মা’জূজ জাতির] ঘাড়সমূহে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন। যার শিকারে পরিণত হয়ে তারা এক সঙ্গে সবাই মারা যাবে। তারপর আল্লাহ তা’আলার নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীগণ নিচে নেমে আসবেন। তারপর [এমন অবস্থা ঘটবে যে,] সেই অঞ্চল তাদের মৃতদেহ ও দুর্গন্ধে ভরে থাকবে; এক বিঘত জায়গাও তা থেকে খালি থাকবে না। সুতরাং ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। ফলে তিনি বুখতী উটের ঘাড়ের ন্যায় বৃহদকায় এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। তারা উক্ত লাশগুলিকে তুলে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ যেখানে চাইবেন সেখানে নিয়ে গিয়ে নিক্ষেপ করবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা এমন প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যে, কোন ঘর ও শিবির বাদ পড়বে না। সুতরাং সমস্ত জমিন ধুয়ে মসৃণ পাথরের ন্যায় অথবা স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর জমিনকে আদেশ করা হবে যে, ‘তুমি আপন ফল-মূল যথারীতি উৎপন্ন কর ও নিজ বরকত পুনরায় ফিরিয়ে আন।’ সুতরাং [বরকতের এত ছড়াছড়ি হবে যে,] একদল লোক একটি মাত্র ডালিম ফল ভক্ষণ করে পরিতৃপ্ত হবে এবং তার খোসার নীচে ছায়া অবলম্বন করবে। পশুর দুধে এত প্রাচুর্য প্রদান করা হবে যে, একটি মাত্র দুগ্ধবতী উটনী একটি সম্প্রদায়ের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুগ্ধবতী গাভী একটি গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে। আর একটি দুগ্ধবতী ছাগী কয়েকটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে। তারা ঐ অবস্থায় থাকবে, এমন সময় আল্লাহ তা’আলা এক প্রকার পবিত্র বাতাস পাঠাবেন, যা তাদের বগলের নীচে দিয়ে প্রবাহিত হবে। ফলে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জীবন হরণ করবে। তারপর স্রেফ দুর্বৃত্ত ও অসৎ মানুষজন বেঁচে থাকবে, যারা এই ধরার বুকে গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে লোকচক্ষুর সামনে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। সুতরাং এদের উপরেই সংঘটিত হবে মহাপ্রলয় [কিয়ামত]।’

নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কোনো মুসলিম যখন সালাত ও যিকিরের জন্য মসজিদে অবস্থান করে, তখন আল্লাহ তার প্রতি খুব খুশি হন, যেমন দূর থেকে কেউ বাড়ি ফিরলে বাড়ির লোকজন খুব খুশি হয়।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “কোনো মুসলিম যখন সালাত ও যিকিরের জন্যে মসজিদকে অবস্থান করে, তখন আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: যে আমার কোনো অলীর সাথে শত্রুতা করবে, আমি তার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছি। আর আমি বান্দার ওপর যা ফরয করেছি তার চেয়ে প্রিয় কোনো জিনিস নেই যার দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করবে, আর বান্দা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, এক সময় আমি তাকে মহব্বত করি।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: যে আমার কোনো অলীর সাথে শত্রুতা করবে, আমি…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: মানুষের মধ্যে দু’টি স্বভাব আছে: সে দু’টি স্বভাবে তাদের ভেতর কুফুরী। বংশের বদনাম করা এবং মৃতের ওপর কান্নাকাটি করা।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাহ বলেছেন, “মানুষের মধ্যে দু’টি স্বভাব আছে: সে দু’টি স্বভাবে তাদের ভেতর কুফুরী।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভালো কাজ করা, খারাপ কাজ ত্যাগ করা ও মিসকিনদের ভালোবাসা প্রার্থনা করছি। আরো প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে ক্ষমা ও রহম করুন। আর যদি কোনো কওমকে ফেতনায় ফেলতে চান, আমাকে ফিতনা ছাড়াই মৃত্যু দান করুন এবং আপনার ভালোবাসা, যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসা এবং এমন আমলের তাওফিক প্রার্থনা করছি, যা আপনার ভালোবাসার দিকে নিয়ে যায়।

মুয়ায বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক দিন সকালে ফজরের সালাতে আমাদের থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: একজন ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ, আল্লাহ আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, যমীনসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, পাহাড়সমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, গাছ-পালাকে এক আঙ্গুলের উপর ধরে রাখবেন এবং সমগ্র মাখলুককে আঙ্গুলের উপর ধরে রাখবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমি বাদশাহ।

আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফ‘ হিসেবে বর্ণিত, একজন ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওায়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ,…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে শাস্তি দিতে চান, তখন শাস্তি তাদেরকেও স্পর্শ করে যারা তাদের ভেতর থাকে (অথচ তাদের মতাবলম্বী নয়)। অতঃপর তাদের সবাইকে আমল হিসেবে উত্থিত করা হবে।

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে শাস্তি দিতে চান, তখন শাস্তি তাদেরকেও স্পর্শ…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কুরসী দুই পায়ের স্থান আর আরশ, তার পরিমাণ নির্ধারণে কেউ সক্ষম নয়।

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত: “কুরসী দুই পায়ের স্থান আর আরশ, তার পরিমাণ নির্ধারণে কেউ সক্ষম নয়।”…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তোমরা কবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করো না এবং তার ওপর বসিও না।

মারসাদ আল-গানাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করো না…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ তা‘আলা রেহেমের (মাতৃগর্ভের জন্যে একজন মালাইকাহ নির্ধারণ করেছেন। তিনি (পর্যায়ক্রমে) বলতে থাকেন, হে রব! এখন বীর্য-আকৃতিতে আছে। হে রব! এখন জমাট রক্তে পরিণত হয়েছে। হে রব! এখন মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন জিজ্ঞেস করেন, পুরুষ, না স্ত্রী? সৌভাগ্যবান, না দুর্ভাগা? রিযিক ও বয়স কত? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তার মাতৃগর্ভে থাকতেই তা লিখে দেওয়া হয়।”

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা মাতৃগর্ভের জন্যে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, اللهم رب هذه الدعوة التامة, والصلاة القائمة, آت محمدا الوسيلة والفضيلة, وابعثه مقاما محمودا الذي وعدته “হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই রব! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ও মর্যাদা দান করো এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো। তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।”

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, হে আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: এই সালাত এমন তাতে লোকেদের কোনো কথা যথাযথ নয়। (এতে যা বলতে হয়,) তা হল তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠ।”

মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করছিলাম।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: “তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার রবের সাথে কানে কানে (ফিসফিস ক’রে কথা) বলে। আর তার রব তার ও কেবলার মধ্যস্থলে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কেবলার দিকে থুথু না ফেলে; বরং তার বামে অথবা পদতলে ফেলে। অতঃপর তিনি তাঁর চাদরের এক প্রান্ত ধরে তাতে থুথু নিক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি তার এক অংশকে আর এক অংশের সাথে রগড়ে দিয়ে বললেন, কিংবা এইরূপ করে।”

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার (দিকের দেওয়ালে) থুথু দেখতে পেলেন এটা তাঁর প্রতি খুব ভারী…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তারা এমন জাতি যে, তাদের মধ্যে কোনো নেক্কার বান্দা অথবা নেক্কার ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর কবরে তারা মসজিদ নির্মাণ করত এবং তাতে ঐ সব চিত্রকর্ম অংকন করত। তারা হলো, আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট সৃষ্টি।

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু `আনহা হতে বর্ণিত, উম্মু সালামাহ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তার হাবাশায় দেখা ‘মারিয়া’ নামক একটি গীর্জার…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে প্রতি রাতে আমাদের বরকতময় মহান রব দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিবো? কে আমার কাছে চাইবে আমি তাকে দান করব? কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব?

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রাতের শেষ তৃতীয়াংশে বাকী থাকতে প্রতি রাতে আমাদের বরকতময়…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না।

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে আদম…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর সন্তানের প্রতি এ মহিলার দয়ার চেয়ে অধিক দয়ালু।

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী এল। তিনি দেখলেন যে, বন্দীদের…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আমার এ জুতো জোড়া সঙ্গে নিয়ে যাও এবং এ বাগানের বাইরে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পাঠকারী যে কোনো ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসা ছিলাম। আমাদের সাথে অন্যান্য…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: জনৈক আলেম তার বক্তব্যে বলেন, কোন সদাচরণকারী সন্তান যদি তার পিতা-মাতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকায়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার ‘আমল-নামায় একটি ‘কবুল হজ্জ’ তথা কবুলযোগ্য হজ্জের ছওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। এমনকি দৈনিক একশ’বার তাকালেও। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক!

উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৪৭৫)। এর সনদে নাহশাল ইবনু সাঈদ নামে মিথ্যুক রাবী আছে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি ছালাত ছেড়ে দিল সে শিরক করল। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (ইবনু মাজাহ, হা/১০৮০, সনদ ছহীহ)। আর যে শিরক করে মারা যাবে রাসূলুল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: স্বাধীন মেয়েকে বিবাহ করলে না-কি আল্লাহর সাথে পবিত্র অবস্থায় সাক্ষাৎ করা যায়। কথাটি কি সঠিক?

উত্তর : সঠিক নয়। কেননা উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/ ১৮৬২; সিলসিলা যঈফাহ, হা/১৪১৭)।   সূত্র:…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: জান্নাতের হূরগণ বলবে, نَحْنُ الْخَالِدَاتُ فَلَا نَبِيْدُ وَنَحْنُ النَّاعِمَاتُ فَلَا نَبْأَسُ وَنَحْنُ الرَّاضِيَاتُ فَلَا نَسْخَطُ طُوْبَى لِمَنْ كَانَ لَنَا وَكُنَّا لَهُ ‘আমরা চিরদিন থাকব, কখনও ধ্বংস হব না। আমরা হামেশা সুখে-সানন্দে থাকব, কখনও দুঃখ-দুশ্চিন্তায় পতিত হবে না। আমরা সর্বদা সন্তুষ্ট থাকব, কখনও নাখোশ হব না। সুতরাং তাকে ধন্যবাদ, যার জন্য আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি’ (তিরমিযী, হা/২৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৬৪৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৪০৭, ১০/১৫০ পৃ.) মর্মে বর্ণনাটি কি সঠিক?

উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব নামে দুর্বল রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ (যঈফ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ছালাতের প্রথম ওয়াক্ত আল্লাহ সন্তুষ্টি আর শেষ ওয়াক্ত আল্লাহ ক্ষমা’ (তিরমিযী, হা/১৭২, ১/৪৩ পৃ.) মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ, না-কি জাল?

উত্তর : বর্ণনাটি জাল (যঈফ তিরমিযী, হা/১৭২; ইরওয়াউল গালীল, হা/২৫৯; মিশকাত, হা/৬০৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৫৮, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭৯)। এর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: রাসূলূল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সন্তান যদি তার পিতা-মাতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকায়, তখন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার ‘আমল নামায় একটি কবুলযোগ্য হজ্জের ছওয়াব লিপিবদ্ধ করেন (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৪৭৫; মিশকাত হা/৪৯৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৭২৭)। বর্ণনাটি কি সঠিক?

উত্তর : বর্ণনাটি জাল। উক্ত বর্ণনার সনদে নাহশাল ইবনু সাঈদ নামে মিথ্যুক রাবী আছে এবং মানছূর ইবনু জা‘ফর নামে অপরিচত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: দলবদ্ধ মুনাজাত করার পক্ষে জনৈক আলেম নিম্নের হাদীছটি পেশ করে থাকেন- কিছু লোক একত্রিত হয়ে তার মধ্যে কেউ কেউ দু‘আ করলে আর কেউ কেউ আমীন আমীন বললে, আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেন। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ?

উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে ইবনু লাহী‘আহ নামক যঈফ রাবী আছে (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৯৬৮)। মূলত ফরয ছালাতের পর কিংবা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ছহীহ মুসলিমে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সাবধান থাক। কেননা বানী ইসরাঈলের উপর প্রথম যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তা নারীদের মধ্য হতে ঘটেছিল’ (হা/২৭৪২)। বানী ইসরাঈলের সেই নারী কেন্দ্রিক ঘটনা কী ছিল?

উত্তর : উক্ত হাদীছে বানী ইসলাঈলের সেই নারী কেন্দ্রিক ঘটনাটি হল- বানী ইসরাঈলের ‘আমীল নামক ব্যক্তি তার ভাইয়ের ছেলের মেয়ে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’-এটি কি ছহীহ হাদীছ? দলীল জানালে উপকৃত হব।

উত্তর : হাদীছটি বানোয়াট। এর সনদে মূসা বিন মুহাম্মাদ বিন ‘আত্বা নামে একজন রাবী রয়েছে, সে মুনকার এবং হাদীছ চোর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ‘বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার’ এ কথা কি শরী‘আত সম্মত?

উত্তর : উক্ত বাক্য একটি ছহীহ হাদীছের অংশ বিশেষ (ইবনু মাজাহ, হা/৪০৩১)। অর্থাৎ আল্লাহর নেক বান্দা যত বড় বিপদ-মুছীবতের সম্মুখীন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: উটের মালিক সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী এবং ছাগল বরকতপূর্ণ প্রাণী। আর ঘোড়ার কপালে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ বাঁধা থাকবে। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?

  উত্তর : হাদীছটি ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/২৩০৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৭৬৩)।   সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: যঈফ হাদীছ কি সর্বক্ষেত্রেই বর্জনীয়? কোন কোন ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি?

উত্তর : যঈফ হাদীছ সর্বক্ষেত্রেই বর্জনীয়। কোন অবস্থাতেই যঈফ হাদীছের উপর আমল করা উচিত নয়। অধিকাংশ মুহাদ্দিছের বক্তব্য হল যঈফ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মদীনা কামারের হাপরের ন্যায়। মদীনা মরিচা (দুষ্ট লোক) বিদূরিত করে এবং ভালকে আরও উজ্জ্বল করে (ছহীহ বুখারী, হা/৬৭৮৫)। উক্ত হাদীছে ব্যাখ্যা কী?

উত্তর : উক্ত মর্মে আরো হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৮১)। এর অর্থ হল, খারাপ মানুষ সেখানে আশ্রয় পাবে না।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: হে রব! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না, আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না,আমাকে হেদায়াত দান করো, আমার জন্য হেদায়াতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লংঘন করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দোয়ায় বলতেন, “হে রব! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: আল্লাহর তা‘আলা তার সৃষ্টিকে অন্ধকারে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তার নূর থেকে তাদের ওপর নিক্ষেপ করলেন। যে তার সে নূর থেকে পেল, সে হিদায়াত প্রাপ্ত হলো আর যে পেল না গোমরাহ হলো। এ কারণেই আমি বলি, আল্লাহর ইলমের ওপর কলম শুকিয়ে গিয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর তা‘আলা তার সৃষ্টিকে…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: ঈমান ইয়ামনী, হিকমত ইয়ামনী। আর আমি রহমানের নিঃস্বাশ ইয়ামানের দিক থেকে পাচ্ছি। তবে কুফর, নাফরমানী ও অন্তরের কাঠিন্যতা চিৎকারী উট ও গরু-ছাগলের মালিকদের ভেতর বেশি।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: “ঈমান ইয়ামনী, হিকমত ইয়ামনী। আর আমি রহমানের নিঃস্বাশ ইয়ামানের দিক থেকে পাচ্ছি।…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: কবরস্থান এবং গোসল খানা ছাড়া সমগ্র যমীন মসজিদ।

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: কবরস্থান এবং গোসল খানা ছাড়া সমগ্র যমীন মসজিদ। [সহীহ] – [এটি…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: তারপর যখন আদম আলাইহিস সালামের বয়স শেষ হলো তখন মালাকুল মাওত আসলে তিনি বলেন, আমার হায়াতের চল্লিশ বছর কি এখনো বাকী নয়? সে বলল, তুমি কি তোমার ছেলে দাউদকে তা দিয়ে দাওনি? তিনি বলেন, আদম অস্বীকার করল, তারপর তার সন্তারা অস্বীকার করল। আদম নিজে ভুলে গেল তারপর সন্তানরাও ভুলে গেল। আদম নিজে ভুল করল, তারপর সন্তানরাও ভুল করল।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার…

আরও পড়ুন ➲

হাদীস: “সর্বশেষে যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার সম্পর্কে অবশ্যই আমার জানা আছে। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে (বা বুকে ভর দিয়ে) চলে জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ আয্যা অজাল্লাহ বলবেন, ‘যাও জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সুতরাং সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে এসে বলবে, ‘হে রব! জান্নাত তো পরিপূর্ণ দেখলাম।’ আল্লাহ আয্যা অজাল্লাহ বলবেন, ‘যাও, জান্নাতে প্রবেশ কর।’ তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত তো ভরে গেছে। তাই সে আবার ফিরে এসে বলবে, ‘হে রব! জান্নাত তো ভরতি দেখলাম।’

মুগীরা ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মূসা সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন,…

আরও পড়ুন ➲
Back to top button