সালাত কিভাবে আদায় করব? (দ্বিতীয় অংশ)
পূর্বের অংশের পর…
৪১. বসা অবস্থায় আঙুল রাখার পদ্ধতি: বাম হাত বাম উরুর উপর রেখে আঙুলগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখবেন আর ডান হাত ডান উরুর উপর রেখে ডান হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা এ দুটি আঙুল গুটিয়ে এনে বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙুল দুটির মাথা একত্র করে গোলাকার বৃত্তের মতো করে ধরে রাখবেন এবং শাহাদাত আঙুলটি তখন মৃদুভাবে নাড়াবেন। আর মুসল্লীর এ কাজটি শয়তানের জন্য খুবই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উল্লেখ্য, আঙুলটি ইশারা করেই সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে ফেলবেন না; বরং সালাম ফেরানোর পূর্ব পর্যন্ত শাহাদাত আঙুলটি খাড়া করে মৃদুভাবে নেড়ে দু’আ করতে থাকবেন। অর্থাৎ, দুআগুলোর অর্থের দিকে খেয়াল রাখবেন এবং আল্লাহুম্মা’ শব্দ উচ্চারণ করার সময়ও আল্লাহর দিকে ইঙ্গিত করবেন।
হাদীসে এসেছে, (….আরবী)
৪২. বসা অবস্থায় যা পড়তে হয়: যদি প্রথম বৈঠক হয় তাহলে দ্বিতীয় রাকআতের পর শুধু ‘আত্তাহিয়্যাতু পড়বে ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহ’ পর্যন্ত। আর যদি শেষ বৈঠক হয় তাহলে প্রথমে। আত্তাহিয়্যাতু, এরপর দরূদ, তারপর দু’আ মাছুরা এবং সম্ভব হলে একাধিক দু’আ মাছুরা পড়বে। রাসূলুল্লাহ (স) এভাবেই করেছেন
ক. প্রথমে নিম্নবর্ণিত আত্তাহিয়্যাতু পড়বে-
আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আস্সালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু
“যাবতীয় অভিবাদন, সর্বপ্রকার সালাত ও পবিত্রতা কেবল আল্লাহ তাআলারই প্রাপ্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক এবং আমাদের ও আল্লাহর সমস্ত নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার আর কোন মাবুদ নেই এবং এ কথাও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও প্রেরিত রাসূল।” (বুখারী: ৮৩১, ইফা ৭৯৩, আধুনিক ৭৮৫)
খ. অতঃপর রাসূলুল্লাহ (স.) এ দরূদটি পড়তেন, যাকে দরূদে ইবরাহীমও বলা হয়ে থাকে।
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ
“হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (স) এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করো, যেমন রহমত বর্ষণ করেছ ইবরাহীম (আ) ও তাঁর বংশধরের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (স) এবং তাঁর বংশধরের ওপর বরকত নাযিল করো, যেমন বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম (আ) ও তাঁর বংশধরের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।” (বুখারী: ৩৩৭০)
গ. সবশেষে পড়বে দু’আ মাছুরা (নিম্নবর্ণিত যে কোন এক বা একাধিক)
আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম
“হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া কেউ (ঐ) পাপসমূহ ক্ষমাকারী নেই। অতএব, তুমি স্বীয় অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াময়।” (বুখারী: ৮৩৪, ইফা ৭৯৫, আধুনিক ৭৮৭)
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি
“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।আরো আশ্রয় চাই দুনিয়ার জীবনের ফিতনা ও বিপর্যয় এবং মৃত্যুর যাতনা হতে। আরো আশ্রয় চাই দাজ্জালের ফিতনা থেকে।” (বুখারী: ১৩৭৭)
উল্লেখ্য, ১০টিরও অধিক দু’আ মাছুরা রয়েছে, যা বিভিন্ন সময়ে রাসূলুল্লাহ (স) সালাতে পাঠ করতেন।
৪৩, সালাম ফেরানো: অতঃপর ডানে ও বামে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরিয়ে সালাত সমাপ্ত করবে। সালাম দুদিকে ফিরালেও মূলতঃ এটাকে একটি কাজ ধরা হয়। সেজন্য একদল ফকীহর মতে, সবচেয়ে সহীহ পদ্ধতি হলো, ইমাম সাহেবের দ্বিতীয় সালাম ফেরানো শেষ হলে মুক্তাদিরা প্রথম সালাম শুরু করবে। অতঃপর দ্বিতীয় সালাম ফেরাবে। মক্কা মুকাররমা ও মদীনা মুনাওয়ারার মসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন নববীসহ সে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা এভাবেই সালাম ফেরায়।
৪৪. ইমামের ইকতেদা করা: কোন অবস্থাতেই রুকু, সিজদা, উঠা বা বসাসহ কোন কাজই ইমামের আগে আগে করা জায়েয নেই। এ ব্যাপারে হাদীসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এমনকি ইমামের সাথে সাথেও করা ঠিক নয়; বরং সঠিক হলো ইমামের তাকবীর প্রদানের আওয়াজ শেষ হওয়ার পরই তা করা।
৪৫. ইমামের পেছনে মুক্তাদি যা যা পড়বে: ইমাম যখন ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে মুক্তাদি তখন বলবে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’। এছাড়া আল্লাহু আকবার’, তাসবীহ, তাশাহহুদ, দুআ-দরূদ ও সূরা ফাতিহা ইমাম যেমন পড়বে, মুক্তাদি হুবহু তাই পড়বে। বিশেষ করে নীরবে পঠিত সালাতে মুক্তাদিদের সূরা ফাতিহা পড়াকে অধিকাংশ আলেম ফরয বলেছেন। ইচ্ছা করলে মুক্তাদি ইমামের পেছনে ফাতিহা পরবর্তী অন্য সূরাও পড়তে পারে, বা পড়লেও কোন দোষ নেই।
৪৬. লুকমা দেওয়া: জামাআতে নামাযে ইমাম ভুল করলে পেছন থেকে পুরুষ মুসল্লীরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, আল্লাহু আকবার’ বলবে না। আল্লাহু আকবার বলে লুকমা দেওয়ার পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। মহিলা মুসল্লীরা ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠে মেরে তালি দিয়ে আওয়াজ করবে (বুখারী: ১২০৩ ও মুসলিম: ৪২২) নারীরা মুখে কিছুই বলবে না।
৪৭. সহু সিজদা: ভুলক্রমে কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে অথবা ওয়াজিব বা রুকন আদায়ের ক্ষেত্রে কোন সন্দেহ সৃষ্টি হলে অথবা কোন ওয়াজিব বা রুকন অতিরিক্ত হয়ে গেলে সহু সিজদা দিতে হয়। প্রচলিত নিয়মে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে ডান দিকে একবার সালাম ফিরিয়ে দু’টি সহু সিজদা দেয়া হয়। এরপর আবার তাশাহহুদ, দরূদ ও দুআ মাছুরা পড়ে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা হয়। রাসূলুল্লাহ (স.) থেকে এ মর্মে কোন সহীহ হাদীস পাওয়া যায় না।
সহু সিজদার বিশুদ্ধ পদ্ধতি: শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দরূদ ও দুআ মাছুরা পড়া শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে দুটি সিজদা করবে। অতঃপর ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করবে। এটিই হলো বিশুদ্ধ পদ্ধতি।দেখুন বুখারী: ১২৩০।
৪৮. মুসল্লীদের দিকে ইমামের ঘুরে বসা: জামাআতে নামাযের সালাম ফেরানোর পর রাসূলুল্লাহ (স.) ইমাম অবস্থায় কিবলার দিক থেকে ঘুরে মুক্তাদিদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন। (বুখারী: ৮৪৫, ইফা: ৮০৫, আধুনিক: ৭৯৭)।
৪৯. ফরয সালাতের পর পঠিতব্য দু’আ ও যিকর: ফরয সালাতের সালাম শেষে রাসূলুল্লাহ (স.) অনেক দু’আ ও যিকর করেছেন। তন্মধ্যে নিম্নে কিছু যিকর উল্লেখ করা হলো:
ক. তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন।
খ. অতঃপর এ দু’আটি পড়তেন,
আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম
“হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময় এবং তোমার হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।তুমি বরকতময় হে। মহান ও সম্মানের অধিকারী।” (মুসলিম: ৪৯১)
গ. নবী (স.) প্রত্যেক ফরয সালাতের শেষে এ দু’আটিও পড়তেন,
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু
“এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। মহাবিশ্বের সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই এবং সকল প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাশীল। হে আল্লাহ! তুমি যা দিয়েছ, তা রোধ করার কেউ নেই। আর তুমি যা রোধ করেছ, তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর তোমার নিকট (সৎ কাজ ছাড়া) কোন ধনবানের ধন তোমার আযাবের মোকাবিলায় কোন উপকারে আসে না।” (বুখারী: ৬৩৩০, মুসলিম: ৫৯৩)
ঘ. তিন তাসবীহ: নবী (স) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করার পর নিম্ন বর্ণিত দুআটি ১ বার পড়ে মোট ১০০ বার পূর্ণ করবে তার সমস্ত সগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।(মুসলিম: ৫৯৭)
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তাঁর কোন শরীক নেই।সমগ্র রাজত্ব ও প্রশংসা শুধু তারই। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
ঙ. আয়াতুল কুরসী পাঠ: নবী (স) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তাকে মৃত্যু ছাড়া আর কোন জিনিসই জান্নাতে পৌছতে বাধা দিতে পারবে না। (নাসাঈ: ১০০, তাবরানী: ৭৫৩২)
চ. তারপর ফজর ও মাগরিব বাদ পড়বে সূরা ইখলাস ৩ বার, সূরা ফালাক ৩ বার, সূরা নাস ৩ বার। অন্যান্য ফরয সালাতের শেষে এ ৩টি সূরা পড়বে ১ বার করে।(আবু দাউদ: ১৫২৩) এছাড়াও যদি কেউ অন্য কোন যিকির-আযকার করতে চান তাহলে তা একাকী করতে পারেন। তাছাড়া তাসবীহ আঙুলে গুণে পড়া সুন্নাত। উল্লেখ্য, ফরয সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ (স.) জামা’আতবদ্ধভাবে কখনও দুআ করেননি। মক্কা, মদীনা ও আরাফাতের সর্ববৃহৎ জমায়েতেও এ ধরনের প্রচলন নেই। মদীনা শরীফের উলামায়ে কেরাম এ পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদআত বলেছেন। আমাদের কাছে ভালো মনে হলেও নবী (সা.) – এর সুন্নাতের বাইরে অতিরিক্ত কোন কিছু যোগ করা জায়েয নয়।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের কর্তব্য হলো, নামাযের মধ্যে যেসব তাকবীর, তিলাওয়াত, তাসবীহ ও দু’আ পাঠ করা হয় সেসবের অর্থ ও মর্ম বুঝে সালাত আদায় করা।তাহলে আমরা অনুধাবন করতে পারব যে, নামাযের মধ্যে কত হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষণীয় দুআ রয়েছে। শেষ বৈঠকের দুআয়ে মাছুরা’য় তো অনেক দু’আর সার-কথাই বলা হয়। জুমুআর খুতবার শেষ অংশের পুরোটাই দুআ, যাতে মুসল্লিগণ আমিন! আমিন!… বলে শরীক হতে পারেন। এর ফলে নামায শেষে সম্মিলিত মুনাজাতের প্রয়োজনই বোধ হবে না আর তা সহীহ তরীকাও নয়। যে সকল ইমাম সাহেব এসব বিশুদ্ধ কথা জানার পরও ফাসাদ সৃষ্টির ভয়ে ফরয সালাত শেষে নিয়মিত সম্মিলিত মোনাজাত করেন তাদের কর্তব্য হলো, নেক নিয়তে দরদি ভাষায় মুসল্লিদেরকে বিশুদ্ধ পদ্ধতি জানিয়ে দেওয়া। কেননা, সালাম ফেরানোর পরপরই মোনাজাত ধরার কারণে উল্লেখিত মাসনূন দু’আ ও তাসবীহগুলো প্রতিনিয়তই বাদ পড়ে যাচ্ছে ।
সূত্র: প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত
লেখক: অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম