মহিলা অঙ্গনশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ

প্রশ্ন : একজন মহিলা হয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার চাকুরী করা কি জায়েয?

উত্তর : মহিলাদের জন্য বাড়ীতে অবস্থান করাই কল্যাণকর (সূরা আল-আহযাব : ৩৩)।

ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তোমরা বাড়ীতেই অবস্থান কর, বিনা প্রয়োজনে বাহিরে বের হয়ো না’ (তাফসীরে ইবনু কাছীর, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪০৯)।

আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘মহিলারা প্রয়োজনে বের হতে পারে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮৩)।

উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইবনু বাত্তাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মহিলারা তাদের প্রয়োজনে বের হতে পারে। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, মাহরাম কারো সাথে সাক্ষাতে যেতে পারে অথবা যেকোন বৈধ ও উপকারী প্রয়োজন মেটাতে যেতে পারে’ (শারহু ছহীহিল বুখারী, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪)।

তাই একজন শিক্ষিকা হিসাবে নয়; একজন মুসলিম মহিলা হিসাবে তার কর্তব্য হল পর্দার ফরয বিধান মেনে চলা। পূর্ণাঙ্গ পর্দা সহ কোন মেয়ে তার দৈনন্দিন রুটিন মাফিক বৈধ কাজ করতে পারবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮৩)।

কিন্তু নারী-পুরুষ মিশ্রিত এমন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ছেলেদের সামনে যাওয়া একবারেই উচিত না। কারণ শিক্ষক-শিক্ষিকা একত্রে বসে সময় কাটানোও হারাম। কেননা পুরুষের জন্য নারীই সবচেয়ে বড় ফিতনা (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯৬)।

তবে শুধু মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় হলে কোন সমস্যা নেই। আবার শিশুরা হলেও সমস্যা নেই।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button