শিষ্টাচার, আখলাক ও অন্তর পরিচর্যা

প্রশ্ন : গালি নির্দেশ করে এমন কথাকে রসিকতা করে বলা; সিরিয়াসলি নয়। এ ব্যক্তিও কি কুফুরী করবে?

উত্তর : এক্ষেত্রে তিনটি স্তর রয়েছে।

প্রথমতঃ কথা ও গালি উভয়টি উদ্দেশ্য হওয়া। এটি মন থেকে যারা বিদ্রুপ করে তাদের কাজ। যেভাবে ইসলামের শত্রুরা ইসলামকে গালি দিয়ে থাকে।

দ্বিতীয়তঃ শুধু কথাটি উদ্দেশ্য হওয়া, গালি নয়। অর্থাৎ রসিকতা করে গালি নির্দেশ করে এমন কথাকে উদ্দেশ্য করা, তবে সিরিয়াসলি নয়। এ ব্যক্তির হুকুমও প্রথম স্তরের ব্যক্তির ন্যায়, সে কাফের হয়ে যাবে। যেহেতু এটি বিদ্রƒপ ও ঠাট্টা।

তৃতীয়তঃ কথাও উদ্দেশ্য নয়, গালিও উদ্দেশ্য নয়। বরং জিহ্বার স্খলন ঘটে এমন কিছু বলে ফেলা যা গালি নির্দেশ করে; কিন্তু আদৌ কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কথাও উদ্দেশ্য ছিল না গালিও উদ্দেশ্য ছিল না। এ ব্যক্তিকে এ কাজের জন্য দোষী করা হবে না। এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে যে, لَا  یُؤَاخِذُکُمُ  اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ  اَیۡمَانِکُمۡ  ‘তোমাদের অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২২৫)।

এ ধরণের শপথ হচ্ছে এমন যে, কেউ তার কথার মাঝখানে বলে ফেলল- ‘লা, ওয়াল্লাহ’ তথা আল্লাহর শপথ! এমনটি নয়। কিংবা বলে ফেলল যে, ‘বালা, ওয়াল্লাহ’ তথা হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ। অর্থাৎ শপথটা বক্তার উদ্দেশ্য নয়। তাই এ ধরণের কথার ক্ষেত্রে শপথের হুকুম প্রযোজ্য হবে না। ঠিক এভাবে মানুষের মুখে উদ্দেশ্যহীনভাবে কোন কিছু চলে আসলে সেটার ক্ষেত্রে হুকুম প্রযোজ্য হবে না (শায়খ উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৪/২)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button