দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : মসজিদের ফরয ছালাত কিংবা জুম‘আর ছালাতের পর কেউ কেউ পিতা-মাতা বা নিজের রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দু‘আ চায়। অনেকে ইমামের নিকট পত্র লিখে দু‘আ চায়। এভাবে কেউ দু‘আ চাইলে করণীয় কী?

উত্তর : মূলত প্রচলিত মুনাজাত চালু আছে বলেই দু‘আ চাওয়ার এই পদ্ধতিও চালু আছে। ছালাতের পরে মুনাজাতের যেহেতু ভিত্তি নেই, সেহেতু দু‘আ চাওয়ার এই পদ্ধতিও ঠিক নয়।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবীদের থেকে উক্ত পদ্ধতিতে দু‘আ চাওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। দু‘আ চাওয়ার নিয়ম হ’ল- কোন সমস্যায় পড়লে বা রোগাক্রান্ত হলে এলাকার পরহেযগার, দ্বীনদার, হক্বপন্থী আলেমের কাছে গিয়ে দু‘আ চাইবে। তখন তিনি প্রয়োজনে ওযূ করে ক্বিবলামুখী হয়ে হাত তুলে তার জন্য আল্লাহ্র কাছে দু‘আ করবেন। ছাহাবায়ে কেরাম উক্ত পদ্ধতিতে দু‘আ চাইতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩২৩, ৬৩৮৩, ২/৯৪৪ পৃ.)।

দ্বিতীয়তঃ সবার কাছে দু‘আ চাইতে পারে। তবে সকলে নিজ নিজ দু‘আ করবে। তা ছালাতের মধ্যে হোক বা ছালাতের বাইরে হোক। ইমামও কারো পক্ষে থেকে সবার নিকট দু‘আ চাইতে পারেন, যাতে সকলে নিজ নিজ তার জন্য দু‘আ করে। ইমাম জুম‘আর দিন তার জন্য খুৎবায় দু‘আ করতে পারেন আর বাকীরা আমীন আমীন বলতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমাহ, ৮ম খ-, পৃ. ২৩০-৩১ ও ৩০২; শাইখ উছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃ. ৩৯২)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button