প্রশ্ন : ডাক্তারের নিকটে কোন রোগের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি শারঈ ঝাড়-ফুঁকের চিকিৎসা নেওয়া যাবে কি?
উত্তর : ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা নেওয়ার পাশপাশি শারঈ ঝাড়-ফুঁকের চিকিৎসা নেওয়া জায়েয।
জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এক সময় ঝাড়-ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিলেন। অতঃপর ‘আমর ইবনু হায্ম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের নিকট একটি ঝাড়-ফুঁক ছিল, যা দিয়ে আমরা বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়-ফুঁক করতাম, এখন আপনি তো ঝাড়-ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার ভাইয়ের কোনও উপকার করতে সমর্থ হ’লে সে যেন তার উপকার করে (মুসলিম হা/২১৯৯; ছহীহাহ হা/৪৭২)।
‘আওফ বিন মালেক আল-আশজাঈ (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগে আমরা মন্ত্র পড়ে ঝাড়-ফুঁক করতাম। ইসলাম গ্রহণের পর আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ সমস্ত মন্ত্র সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তখন তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমাকে পড়ে শুনাও। (তবে কথা হ’ল) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতে কোন আপত্তি নেই, যদি তার মধ্যে শিরকী কিছু না থাকে (মুসলিম হা/২২০০; মিশকাত হা/৪৫৩০)।
উল্লেখ্য যে, কোন আয়াত বা দো‘আ পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি পান করা বা তা দ্বারা গোসল করা বা শরীরে পানি ছিটিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩৫০৯; নববী, শরহ মুসলিম ১৪/১৮২; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১/৫২)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।