দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : জনৈকা মহিলা প্রতিদিন সন্ধ্যায় জিনের আছরে আক্রান্ত হয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। সে জর্দা দ্বারা পান খাওয়া ব্যতীত কোন কিছুতেই সুস্থ হয় না। এক্ষণে এধরনের হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া যাবে কি?

উত্তর : জিন দ্বারা আক্রান্ত হ’লে শরী‘আতসম্মত দো‘আগুলো দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করবে। যেমন সূরা নাস, ফালাক্ব, ইখলাছ, আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা ইত্যাদি পাঠ করে ফুঁক দিবে (বুখারী হা/৪৪৩৯; মুসলিম হা/২১৯২; মিশকাত হা/১৫৩২)

কোন অবস্থায় হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা যাবে না।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা চিকিৎসা করাও। তবে হারাম বস্ত্ত দিয়ে করো না’ (আহমাদ হা/১২৬১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭৫৪; মিশকাত হা/৪৫৩৮)

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা করবে, আল্লাহ এর মাধ্যমে তাকে সুস্থতা দিবেন না (ছহীহাহ হা/২৮৮১)

তবে বাধ্যগত অবস্থার কথা স্বতন্ত্র, যেমন রোগীর জীবন রক্ষার্থে কখনও চিকিৎসকরা মাদকজাতীয় ঔষধ প্রদান করে থাকেন। কারণ সে অবস্থায় জীবন বাঁচানো অধিক যরূরী।

আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বাধ্যগত অবস্থায় পড়লে সে কথা স্বতন্ত্র’ (আন‘আম ৬/১১৯)

মূলতঃ দুষ্টু জিন মানুষের শত্রু। তাই জর্দা খেলে সে খুশী হয়। অতএব উক্ত দো‘আগুলি পাঠ করে আল্লাহর উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল রেখে দৃঢ় মানসিকতা অর্জন করতে পারলে জিনের আছর থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button