দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : খতমে ইউনুস, খতমে খাজেগান, খতমে শিফা, খতমে আম্বিয়া ইত্যাদির প্রচলন কবে থেকে হয়? এগুলো কি শরী‘আত সম্মত?

উত্তর : এগুলো সবই ভ্রষ্টতার যুগে সৃষ্ট। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় এসবের
কোন অস্তিত্ব ছিল না।

আর এটাই বাস্তব কথা, যেমন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় যা দ্বীন হিসাবে গণ্য ছিল না, আজকের দিনেও তা দ্বীন হিসাবে গণ্য হবে না (আল-ইনছাফ ৩২ পৃ.)

অতএব দলীলবিহীনভাবে ‘এই দো‘আ এতবার পাঠ করলে এই ফযীলত হবে’ মনে করে কোন আমলের সুযোগ নেই। বরং বিপদের সময় এক বা একাধিকবার দো‘আ ইউনুস পাঠ করতে হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি যে কোন সমস্যায় এই দো‘আটি পাঠ করলে
আল্লাহ তা কবুল করেন’ (তিরমিযী হা/৩৫০৫; মিশকাত হা/২২৯২)

অনুরূপ কেউ শারীরিক বা মানসিক সুস্থতার জন্য কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে। কারণ
আল্লাহ বলেন, তুমি বলে দাও যে, এটি বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশ ও আরোগ্য (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৪৪)

ধারণা করা যায়, খতমে খাজেগান, খতমে আম্বিয়া ইত্যাদি অযীফাসমূহ উপমহাদেশের কোন পীর-বুযুর্গের মাধ্যমে চালু হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে এর প্রচলন শুরু হয়েছে তা জানা যায় না।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button