প্রশ্ন : আমার স্বামীর কিছু অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য মাঝে মাঝে তার সাথে ঝগড়া হয়। একসময় আমি তার উপর অভিশাপ দেই যেন ঈমানহারা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরূপ অভিশাপ দেওয়া জায়েয কি? এর কোন কার্যকারিতা আছে কি?
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুমিনকে অভিশাপ দেয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য’ (বুখারী হা/৬৬৫২; মুসলিম হা/১৭৬; মিশকাত হা/৩৪১০)।
বিশেষত নারীদের অধিকহারে জাহান্নামের যাওয়ার বড় কারণ হিসাবে হাদীছে এসেছে যে তারা বেশী বেশী অভিশাপ প্রদান করে (বুখারী হা/৩০৪; মুসলিম হা/১৩২; মিশকাত হা/১৯)।
সুতরাং স্ত্রীর জন্য এরূপ অভিশাপ প্রদান করা মোটেও ঠিক হয়নি এবং এজন্য তাকে অবশ্যই তওবা করতে হবে। যদি স্বামী অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে তবে তাকে সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে বুঝাতে হবে। এতে কাজ না হ’লে স্বামীর উপর ক্ষমতাবান ব্যক্তির মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করবে। এতেও কাজ না হ’লে তার হেদায়াতের জন্য দো‘আ করবে অথবা ফিসখে নিকাহ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবুও তাকে অভিশাপ দেয়া যাবে না।
আর অভিশাপের কার্যকারিতা রয়েছে যদি অভিশাপপ্রাপ্ত ব্যক্তি সত্যিই তার উপযুক্ত হয়। আর যদি উপযুক্ত না হয়, তবে অভিশাপদাতার
প্রতিই তা ফিরে যায়।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন বান্দা কোন বস্ত্তকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন তা পুনরায় দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য
রওয়ানা হয়, কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে দেয়ায় সে ডানে বামে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোন পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। তখন সেই বস্ত্ত যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ঐ অভিশাপ পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়’ (আবূ দাঊদ হা/৪৯০৫; মিশকাত হা/৪৮৫০; সনদ হাসান)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।