দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : চাকুরী বা জীবিকা বৃদ্ধির জন্য দরূদে নারিয়াহ পাঠ করা যাবে কি? এর ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়, যে ব্যক্তি এ দরূদ ৪৪৪৪ বার পাঠ করবে সেসব রকম বিপদাপদ থেকে নিরাপদে থাকবে এবং তার যেকোন ধরনের অভাব-অভিযোগ পূরণ হবে। এর কোন ভিত্তি আছে কি?

উত্তর : উক্ত দরূদের কোন ভিত্তি নেই। এটি ছূফীদের সৃষ্ট বিদ‘আত মাত্র। এছাড়া
দো‘আটি শিরকী বক্তব্যে পরিপূর্ণ। যেমন সেখানে বলা হয়েছে,

اللهم صل صلاةً
كاملة وسلاما تاما على سيدنا محمد الذي تنحل به العقد، وتتفرج به الكرب،
وتقضى به الحوائج وتنال به الرغائب وحسن الخواتم ويستسقى الغمام بوجهه
الكريم وعلى آله وصحبه في كل لمحة ونفس بعد كل معلوم لك-

(হে আল্লাহ! তুমি
আমাদের নেতা মুহাম্মাদের উপর পূর্ণ অনুগ্রহ ও পর্যাপ্ত শান্তি বর্ষণ কর। যার মাধ্যমে বন্ধন মুক্ত হয়, বিপদ দূরীভূত হয়, প্রয়োজন সমূহ পূর্ণ হয়,
উত্তম কর্ম সমূহ পৌঁছানো হয়, শেষ আমল সুন্দর হয়। যার মহান চেহারার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়। আর শান্তি বর্ষিত হৌক তাঁর পরিবারবর্গের উপর ও তাঁর ছাহাবীগণের উপর প্রতি মুহূর্তে ও প্রতি নিঃশ্বাসে, সবকিছু আপনার জানার পরেও’)। এটি হাযার বার পর্যন্ত পড়া হয়ে থাকে’ (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/৩০৭)

এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর অসীলায় বিপদমুক্তি কামনা করা হয়েছে। যা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) তুমি বলে দাও যে, আমি তোমাদের কোনরূপ ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতা রাখি না’ (জিন ৭২/২১)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button