দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : ইসমে আ‘যম সহ দো‘আ করার পদ্ধতি কি?

উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে বা সালাম ফিরানোর পর ‘ইসমে আ‘যম’ সহ নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করতে হয়। ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নাকা আনতাল্লা-হুল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে প্রার্থনা করছি। কেননা তুমি আল্লাহ। তুমি একক ও মুখাপেক্ষীহীন। যিনি কাউকে জন্ম দেননি ও যিনি কারু থেকে জন্মিত নন এবং যাঁর সমতুল্য কেউ নেই)।

জনৈক ব্যক্তিকে এটা পড়তে শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে তাঁর ‘ইসমে আযম’ (মহান নাম) সহ দো‘আ করেছে। যে ব্যক্তি উক্ত নাম সহকারে প্রার্থনা করবে, তাকে তা দেওয়া হবে। আর যখন এর মাধ্যমে দো‘আ করা হবে, তা কবুল করা হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৭, আবুদাঊদ হা/১৪৯৩; ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১৪৮২-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)

অতঃপর হৃদয়ের কামনা আল্লাহর নিকটে পেশ করতে হবে। এছাড়া নিম্নের দো‘আটি রাসূল (ছাঃ) অধিকাংশ সময় পড়তেন।-আল্লা-হুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র’। (হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে মঙ্গল দাও ও আখেরাতে মঙ্গল দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও) (বুখারী হা/৪৫২২, ৬৩৮৯; বাক্বারাহ ২/২০১; মিশকাত হা/২৪৮৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৯৮-৯৯ পৃ.)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button