দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : কারো বিরুদ্ধে বদদো‘আ করা জায়েয কি?

উত্তর : কোন মানুষের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করা মুমিনের স্বভাব নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে
মাস‘ঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি
ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী, ভৎর্সনাকারী, লা‘নতকারী, অশ্লীলভাষী ও বদ-স্বভাবের
হ’তে পারে না’ (তিরমিযী হা/১৯৭৭, মিশকাত হা/৪৮৪৭)

তিনি বলেন, আমি লা‘নতকারী হিসাবে প্রেরিত হইনি। বরং রহমত হিসাবে প্রেরিত হয়েছি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮১২)। এছাড়া তিনি ব্যক্তি স্বার্থে কখনো কারো প্রতিশোধ নিতেন না (বুখারী হা/৩৫৬০)

তবে দ্বীনী ও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে বদদো‘আর আশ্রয় নেওয়ায় কোন
বাধা নেই। ইরানের বাদশাহ পারভেয কর্তৃক ইসলামের দাওয়াত সম্বলিত রাসূল (ছাঃ)
প্রেরিত পত্র ছিঁড়ে ফেলার খবর শুনে তিনি তার বিরুদ্ধে বদদো‘আ করেছিলেন (আহমাদ হা/১৫৬৯৩; ছহীহাহ হা/১৪২৯)।

৭০ জন ছাহাবীকে প্রতারণার মাধ্যমে হত্যাকারী রে‘ল ও যাকওয়ান গোত্রের
বিরুদ্ধে বদদো‘আ করে তিনি একমাস যাবৎ কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করেছেন (বুখারী হা/২৮০১)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button