দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন : বিদায়কালে ‘আল্লাহ হাফেয’ বলে দো‘আ করা যাবে কি?

উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত নয়।

তবে উক্ত মর্মে দো‘আ হিসাবে হাদীছ পাওয়া যায়। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চাইলে তিনি তার হাত ধরে বলেন, ‘ফী হিফযিল্লাহ ওয়া ফী কানাফিল্লাহ’… (আল্লাহ্র হেফাযতে ও তাঁর রহমতের ছায়া তলে…) (দারেমী হা/২৬৭১, সনদ জাইয়িদ, তাহকীক : সালীম আসাদ)

বিদায়কালে এর চাইতে বিশুদ্ধ ও সুন্দর দো‘আ সমূহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আসতাওদি‘উল্লা-হা দীনাকুম ওয়া আমা-নাতাকুম ওয়া খাওয়া-তীমা আ‘মা-লিকুম’ (আমি আপনার বা আপনাদের দ্বীন, ও আমানত সমূহ এবং শেষ আমল সমূহকে আল্লাহ্র হেফাযতে ন্যস্ত করলাম’) (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৪৩৫)

উল্লেখ্য যে, ফী আমা-নিল্লা-হ বলে বিদায় দেওয়ার প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। এছাড়া অনেকে ‘ভাল থাকুন’ ‘সুস্থ থাকুন’ ইত্যাদি বলেন। এরূপ বলা যাবে না। বরং ‘আল্লাহ আপনাকে ভাল
রাখুন’ ‘সুস্থ রাখুন’ বলা যাবে। কারণ মানুষ নিজে নিজে ভাল থাকতে পারে না আল্লাহর রহমত ব্যতীত।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button