দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

ইফতারের সময় দুআ

প্রশ্ন: রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি কবুলযোগ্য দু’আর সুযোগ রয়েছে। এ দু’আটি কখন করতে হবে: ইফতারের আগে; নাকি ইফতারের মাঝে; নাকি ইফতারের পরে? এ সময়ে পড়া যায় এমন কোন দুআ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়ে থাকে সেটা যদি উল্লেখ করতেন।

উত্তরঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এ প্রশ্নটি শাইখ উছাইমীন (রহঃ) এর কাছে উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন:

ইফতারের পূর্বে সূর্যাস্তের সময় এ দু’আটি করা যেতে পারে। কারণ এ সময় মানুষের অন্তর বিগলিত হওয়ার সাথে মানুষ নত হয়; উপরন্তু সে তো রোজাদার। এ অবস্থাগুলো দু’আ কবুলের উপকরণ। আর ইফতার করার পরে তো আত্মা প্রশান্ত হয়, মন খুশি হয়; তাই এ সময়ে গাফলতি পেয়ে বসা স্বাভাবিক। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ইফতারের পরে উচ্চারণ করার জন্য একটি দু’আ বর্ণিত হয়েছে যদি সে হাদিসটি সহিহ সাব্যস্ত হয়। সে দু’আটি হচ্ছে-

“ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ”

অর্থ- “তৃষ্ণা দূর হয়েছে; শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং প্রতিদান সাব্যস্ত হয়েছে; ইনশাআল্লাহ”।[সুনানে আবু দাউদ, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থ (২০৬৬) ‘হাসান’ বলেছেন] এ দু’আটি অবশ্যই ইফতারের পরে পাঠযোগ্য। অনুরূপভাবে কোন কোন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে,

اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت 

অর্থ- “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে ইফতার করছি।”

অতএব, আপনি যে দু’আকে উপযুক্ত মনে করেন সেটা পাঠ করতে পারেন।

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র: শাইখ উছাইমীনের “আল-লিকা আল-শাহরি” নম্বর- ৮

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button